TMC-BJP

অভিষেকের ‘দক্ষতা’ শান্তনুর মুখে, শুভেন্দুর পক্ষে কুণাল

তৃণমূলে ‘বুড়ো ঘোড়াদের বিশ্রামে’ পাঠানোর সওয়াল করে শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের মুখে!

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:০৭
(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু ঠাকুর (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু ঠাকুর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দলের শীর্ষ স্তরে যে দ্বন্দ্বের আভাস মিলছে, তাকে কাজে লাগিয়ে বিভাজনের কৌশলে নেমে পড়ল দু’পক্ষই। দলীয় বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতির সূত্রে তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই ‘লড়াই’য়ে সুকান্তকে ‘নবজাতক’ বলে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর পক্ষে মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ! আবার তৃণমূলে ‘বুড়ো ঘোড়াদের বিশ্রামে’ পাঠানোর সওয়াল করে শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের মুখে!

Advertisement

শান্তনু বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, ‘‘তৃণমূলের চলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। ভিতর থেকে অন্তর ভেঙে গিয়েছে তৃণমূলের। যদিও অভিষেক নতুন প্রজন্মের ছেলে। অনেক বেশি চৌখস, অনেক বেশি দক্ষ।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বুড়ো ঘোড়াদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত! যাঁদের দ্বারা সরকার চলছে না, তাঁদের রেখে কী লাভ!’’ প্রবীণ-নবীন বিতর্কে এখন উত্তপ্ত তৃণমূলের অন্দর মহল। সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে রদবদলে এবং দলের নানা সিদ্ধান্তে দুই শিবিরের টানাপড়েনের ছায়া পড়ছে। বিজেপির শান্তনুর মন্তব্য সেই ‘বিভাজনে’র দিকে নজর রেখেই।

সাংসদের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দলের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পালের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের কচি নেতা না বুড়ো নেতা পদে বসবেন, এই নিয়ে আলোচনার রুচি আমাদের নেই! তৃণমূল মানেই চোর! ‘লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ড্‌স’-এর দুর্নীতি প্রমাণিত। তাঁর অধিকর্তাকে যদি কেউ তৃণমূলের নেতা হিসেবে প্রশংসা করে থাকেন, তা হলে আমি তাঁর সঙ্গে সহমত।’’

পাশাপাশি, বিজেপির মধ্যে ‘বিভাজন’ উস্কে দেওয়ার কৌশল নিয়ে তৃণমূলের কুণাল মন্তব্য করেছেন, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত রাজনীতিতে ‘নবজাতক’। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু তুলনায় অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ। কুণালের কথায়, ‘‘শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুলের ছাত্র। পরে অন্য স্কুলে গেলেও সেই শিক্ষা নিয়েই গিয়েছেন।’’ এর জন্য আবার ‘মমতার স্কুল’ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করে চাপানউতোরে জড়িয়েছেন সুকান্তও।

(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হেলেঞ্চায় মতুয়াদের সম্মেলনে এ দিন ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু আরও বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে এ রাজ্যে ভাতা দিচ্ছে। অথচ, মতুয়া, সাধু, গোসাঁই, পাগলদের ভাতা দেয় না। কেন্দ্র সরকার মতুয়া, সাধু, গোসাঁই, পাগলদের ভাতা দেবে। কিন্তু আমরা ঘোড়া ডিঙিয়ে এই কাজ করতে চাই না। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের দাবি এই বিষয়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে ‘এনওসি’ দিয়ে জানাক, তারা সহযোগিতা করতে চায়।’’

Advertisement
আরও পড়ুন