Bangladesh Unrest

বাংলাদেশে সংঘর্ষে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের দুই গোষ্ঠী! সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল পুলিশ

ঢাকা পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানিয়েছেন, একটি বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে দু’দল ছাত্রের বচসা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯
ছাত্র সংঘর্ষের পরে থমথমে ঢাকা।

ছাত্র সংঘর্ষের পরে থমথমে ঢাকা। ছবি: রয়টার্স।

‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’ হিসাবে চিহ্নিত করে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার প্রাক্তন শাসকদলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তিন সপ্তাহ আগে। কিন্তু তাতে বাংলাদেশে ছাত্র সংঘর্ষের ধারাবাহিকতায় ইতি পড়েনি। বুধবার রাজধানী ঢাকায় ছাত্রদের দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে হল পুলিশকে।

Advertisement

সূত্রের খবর, যুযুধান দু’পক্ষই কোটা সংস্থার আন্দোলনে যুক্ত ছিল। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানাচ্ছে বুধবার বিকেলে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ এবং সিটি কলেজের দু’দল শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঢাকা পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানিয়েছেন, একটি বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে বচসা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। দু’পক্ষের ইট ছোড়াছুড়িতে বেশ কয়েক জন ছাত্র আহত হন। পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়ন করতে হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।

জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পরে ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ছাত্রলীগের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনপন্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষমতার পালাবদলের পরে গত ২৩ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইউনূস সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ। ওই আইনের তফসিল-২–এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করার কথাও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ‘১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনে’ (হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়) হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন-সহ নানা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল ছাত্রলীগ। বর্তমানে ঢাকা-সহ সে দেশের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ছাত্রলীগের কার্যত অস্তিত্ব নেই।

আরও পড়ুন
Advertisement