পাক-বাহিনীর আত্মঘাতী হামলায় নিহত শীর্ষ নেতা আখুন্দজাদা ফাইল চিত্র
তিনি কোথায় আছেন? আদৌ বেঁচে আছেন কি না, তা নিয়ে অনেক প্রশ্নই উঠছিল। শেষমেশ তালিবান নেতৃত্বই জানালেন, গত বছর পাকিস্তান সেনার একটি আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয়েছে শীর্ষ তালিবান নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার। আফগানিস্তানে নয়া তালিবান সরকার ঘোষণার প্রাক-মুহূর্তেও শোনা গিয়েছিল, আখুন্দজাদার নেতৃত্বেই সরকার চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
এ বার প্রবীণ তালিবান নেতা আমির আল মুমিনিন শেখ একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পাক –বাহিনীর কষা ছকেই একটি আত্মঘাতী হামলায় গত বছর শহিদ হয়েছেন হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা।’’ গত অগস্ট মাসে তালিব বাহিনী কাবুল দখল করার পর থেকেই আখুন্দজাদাকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। শোনা গিয়েছিল, পাক-বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন তিনি। কিছু সূত্র দাবি করেছিল, পাক-বাহিনীর হাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ বার সেই তত্ত্বকেই মান্যতা দিল তালিবান।
৯০-এর দশকে তালিবান যখন আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তখন হিবাতুল্লাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর উপর ভার পড়েছিল দেশের অপরাধ সংখ্যা কমানোর। ২০০১-এ আমেরিকা যখন তালিবানকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা থেকে,তখন আখুন্দজাদাকে তালিবান পরিষদের প্রধান করা হয়। ২০১৫-য় তালিবান প্রধান মোল্লা মনসুর তাঁর সহকারী হিসেবে নিযুক্ত করেন হিবাতুল্লাকে। ২০১৬-য় তালিবানের প্রধান নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন হিবাতুল্লা।