Bomb Hoax

বোমাতঙ্কের পরিস্থিতিতে কী করণীয়? ভুয়ো তথ্যের মোকাবিলায় স্কুলগুলিকে দিল্লি পুলিশের প্রশিক্ষণ

স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়ালে কী ভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে তা শিক্ষকদের বোঝাবে দিল্লি পুলিশ। সম্প্রতি দিল্লির একের পর এক স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরে দেখা গিয়েছে সবই ভুয়ো।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১৭
সম্প্রতি দিল্লির এক স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশের দল।

সম্প্রতি দিল্লির এক স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশের দল। ছবি: পিটিআই।

বোমাতঙ্কের ভুয়ো তথ্য ছড়ালে প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী করণীয়, তা নিয়ে দিল্লির স্কুলশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে পুলিশ। গত দশ দিনে দিল্লির বেশ কিছু স্কুলে বোমা থাকার ভুয়ো তথ্য ছড়িয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে স্কুলের স্বাভাবিক পঠনপাঠনে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী করা উচিত, তা বোঝানোর জন্য স্কুলের শিক্ষক এবং অন্য কর্মীদের জন্য বিশেষ কর্মশালার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সোমবার সকালে দিল্লি পুলিশের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রশান্ত গৌতম জানিয়েছেন, বোমাতঙ্ক ছড়ালে কী ভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে, সে বিষয়টি বোঝানো হবে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী ভাবে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে, তা-ও এই প্রশিক্ষণ শিবিরে স্কুলের শিক্ষক এবং অন্য কর্মীদের শেখানো হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, দিল্লির শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির আয়োজন করছে পুলিশ। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ধরনের স্কুলের শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্যই এই কর্মশালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

সম্প্রতি দিল্লির একের পর এক স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরে দেখা যায় সবই ভুয়ো। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করে ইমেল পাঠানো হয়েছিল। তাই অভিযুক্তদের শনাক্ত করা কঠিন হয়েছিল তদন্তকারীদের কাছে। দিল্লির রোহিনীর একটি স্কুলে গত ২৮ নভেম্বর বোমা হামলার হুমকি দিয়ে ইমেল পাঠানো হয়েছিল। ঠিক তার আগের দিন দিল্লির প্রশান্ত বিহারে একটি মাল্টিপ্লেক্সে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে স্কুলের বোমা হামলার হুমকির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

রবিবার পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, ওই দুই ঘটনার মধ্যে কোনও সম্পর্কই নেই। স্কুলের দুই পড়ুয়াই ওই হুমকিবার্তা পাঠিয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই দুই পড়ুয়া সম্পর্কে ভাইবোন। দু’জন মিলে পরিকল্পনা করেই ইমেলটি পাঠিয়েছেল। তারা চেয়েছিল স্কুলের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যাক!

Advertisement
আরও পড়ুন