সুদৃশ্য অ্যাকোয়ারিয়ামে খেলে বেড়াবে রঙিন মাছ। নতুন বাড়ি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে সেই ইচ্ছেও চাগাড় দিয়েছে। বসার ঘরে সাজানোর জন্য মনের মতো অ্যাকোয়ারিয়াম কিনেও ফেলেছেন। কিন্তু কোন মাছ রাখবেন? জলের নীচের এই জগৎ, মাছের যত্নআত্তি সম্পর্কে কোনও ধারণাই তৈরি হয়নি। চেনেন না মাছও। একদম শুরুতেই কোনগুলি কেনা ঠিক হবে বুঝতে না পারলে তালিকায় রাখতে পারেন ৫ মাছ।
গাপ্পি: মশার লার্ভা খেয়ে ফেলার জন্য জলাশয়ে এমন ধরনের মাছ ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য গাপ্পি আদর্শ। লাল, হলুদ, সাদা রঙের পাশাপাশি লেজে, পাখনায় রঙিন নকশাদার গাপ্পিও হয়। এই ধরনের মাছ কিন্তু চট করে মরে যায় না। ২০-৪০ লিটারের অ্যাকোয়ারিয়ামে দিব্যি খাকতে পারে। বেশি যত্ন-আত্তিও লাগে না। জলের পিএইচ মাত্রা কমে গেলেও এরা টিকে থাকতে পারে। তবে গাপ্পির জন্য পিএইচ মাত্রা হওয়া দরকার ৬.৮-৭.৬। গাপ্পি খুব দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে।
সোর্ডটেলস: নামেই অনুমেয় যে, এই মাছের সৌন্দর্য লুকিয়ে লেজে। সাধারণত নীল, লাল রঙের হয় এই মাছ। লেজের একটি অংশ তরবারির মতো বেরিয়ে থাকে বলে নাম সোর্ডটেলস। মাছটি দ্রুত বেড়ে ওঠে। ফলে ১০০ গ্যালন জল ধরে, এমন অ্যাকোয়ারিয়াম এই মাছ রাখার উপযুক্ত। ২২ থেকে ২৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা মাছটির পক্ষে উপযোগী। তবে এর চেয়ে কম বা বেশি তাপমাত্রাতেও সোর্ডটেলস বেঁচে থাকতে পারে।
বেট্টা: বাহারি মাছটি জলে খেলে বেড়ালে অ্যাকোয়ারিয়ামের সৌন্দর্যই বদলে যায়। মাছটির লেজের বাহার দেখার মতোই। ২০ লিটারের অ্যাকোয়ারিয়াম হলেই এই মাছটি রাখা যাবে। অন্য মাছেদের মধ্যেও এরা দিব্যি থাকতে পারে।
ড্যানিওজ়: জলে তাপমাত্রার হেরফের হলেও চট করে মানিয়ে নিতে পারে ক্ষুদ্রকায় মাছগুলি। টিকে থাকার ক্ষমতা রয়েছে ভালই। বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে জেব্রা ড্যানিওজ় জনপ্রিয়। এই মাছটি বেশ চনমনে। সাঁতরাতে ভালবাসে। তাই আকারে ছোট হলেও বড় অ্যাকোরিয়ামের জন্য আদর্শ। দলবদ্ধ ভাবে থাকতেই ভালবাসে এরা। ফলে অন্তত ৬টি ড্যানিওজ় একসঙ্গে রাখলে ভাল হয়।
গোল্ড ফিশ: অ্যাকোয়ারিয়ামের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাছ গোল্ড ফিশ। কমলা রঙের মাছটি সাঁতরে বেড়ালে দেখতে বেশ লাগে। প্রতিটি মাছের জন্য ৩০ লিটার জল প্রয়োজন হয়। তবে গোল্ড ফিশ রাখলে সপ্তাহে এক দিন জল পরিষ্কার করা জরুরি।