ফাইল চিত্র
দেখতে দেখতে পুজো শেষ। শুক্রবারের বিষাদমাখা দশমী জানান দিচ্ছে, ‘মায়ের পরানের ধন শিবে কৈলাসে লইয়া যায় রে...।’ দুপুর থেকেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে। নিরঞ্জনের পালা চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
দশমীর দিন সকাল থেকেই শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা শুরু হয়েছে। এই দিনটি রাবণবধ করে বিজয়েরও বটে। অবাঙালিরা দিনটিকে পালন করে ‘দসেরা’ হিসেবে। আনন্দবাজার অনলাইন সেই শুভ বিজয়ের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছে পাঠকদের। বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে বিজ্ঞাপনদাতা এবং হিতৈষীদেরও।
এবারেও কোভিডের আবহের মধ্যেই উৎসব হয়েছে। তবু নতুন পোশাক, ঠাকুর দেখা, পেটপুরে খাওয়া ইত্যাদিতে মেতে ছিল বাঙালি। পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে বলে একটা পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু তা শেষপর্যন্ত হয়নি। তবে করোনার সংক্রমণের আশঙ্কায় মন্ত্রী সুজিত বসুর পরিচালনায় পূর্ব কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের পুজো দর্শন বন্ধ করে দিতে পুজো ফুরনোর আগেই।
ঘটনাচক্রে, এ বছর পুজোয় আনন্দবাজার অনলাইন উদ্যোগী হয়েছিল সেরা পুজো বেছে নিতে। তার জন্য অনলাইনে ভোটের আবেদন জানানো হয়েছিল পাঠকদের কাছে। ভোটের জন্য নির্দিষ্ট ছিল দু’দিন— ১১ এবং ১২ অক্টোবর। কিন্তু সেই দু’দিনেই অনলাইনে ভোট দিয়েছেন সাড়ে ৮ লক্ষ পাঠক। এই বিপুল সাড়ার জন্য তাঁদের কাছেও আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ আনন্দবাজার অনলাইন। কৃতজ্ঞ সেই সব পুজো কমিটির কাছেও, যারা এই অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। অনলাইনে সাড়ে ৮ লক্ষ ভোট এবং বিচারকমন্ডলীর বিচার মিলিয়ে কলকাতার বিভিন্ন আবাসন এবং বারোয়ারি পুজো থেকে সেরাদের বেছে নিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইন। প্রথম বছরের উদ্যোগে এই সাড়া দেখে আশা, আগামী বছর আরও পুজোর উদ্যোক্তারা অংশ নেবেন এই প্রতিযোগিতায়। আরও আরও পাঠক ভোট দেবেন সেরা পুজো বেছে নিতে।