Iran Hijab Row

ধর্মীয় নেতার মাথা থেকে পাগড়ি খুলে নিলেন ইরানের মহিলা, হিজাব না পরায় হেনস্থার জন্য ‘প্রতিবাদ’!

ভিডিয়ো শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে, ইরানের বিমানবন্দরে এক ‘মোল্লা’-কে যোগ্য জবাব দিয়েছেন সাহসিনী। কেউ দাবি করেছেন, মহিলার মানসিক সমস্যা রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২৮
বিমানবন্দরে ধর্মীয় নেতার সঙ্গে মহিলার বাদানুবাদ ধরা পড়েছে ভিডিয়োতে।

বিমানবন্দরে ধর্মীয় নেতার সঙ্গে মহিলার বাদানুবাদ ধরা পড়েছে ভিডিয়োতে। ছবি: ভিডিয়ো থেকে

হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক আগেই তৈরি হয়েছে ইরানে। এর মধ্যেই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। ওই ভিডিয়োতে এক ধর্মীয় নেতার সঙ্গে বাদানুবাদে জড়াতে দেখা গিয়েছে এক মহিলাকে, যাঁর মাথায় হিজাব ছিল না। তার পরে সেই ধর্মীয় নেতার মাথা থেকে পাগড়ি খুলে নিজের মাথায় হিজাবের মতো জড়িয়ে নেন তিনি। তার পরেই বলে ওঠেন, ‘‘এ বার আমাকে সম্মান করবেন?’’ ভিডিয়ো শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে, ইরানের বিমানবন্দরে এক ‘মোল্লা’-কে যোগ্য জবাব দিয়েছেন সাহসিনী। কেউ দাবি করেছেন, মহিলার মানসিক সমস্যা রয়েছে। তবে আসলে কী ঘটেছিল, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

Advertisement

ভিডিয়োটি ইরানের মেহরাবাদে বিমানবন্দরের। কবে, কখন এই ঘটনা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। নভিদ মোহেব্বি নামে এক ব্যক্তি ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘ইরানে এক মোল্লার মুখোমুখি এক সাহসিনী। এক মহিলা রেগেমেগে মোল্লার পাগড়ি খুলে নিজের মাথায় জড়িয়ে নেন। তাঁর মাথায় হিজাব ছিল না। দেখে মনে হচ্ছে, কোনও কারণে মহিলার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন মোল্লা।’’

সংবাদ মাধ্যম ‘ইরান ইন্টারন্যাশনাল’ দাবি করেছে, ওই মহিলা হিজাব পরেননি বলে তাঁকে হেনস্থা করেছিলেন ধর্মীয় নেতা। যদিও ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)-র সংবাদ মাধ্যম ‘মাশরেঘ’ দাবি করেছে, মহিলার সঙ্গে ধর্মীয় নেতার ঝামেলার কারণ হিজাব নয়। তাঁর ‘মানসিক সমস্যা’ রয়েছে। সাময়িক ভাবে তাঁকে আটকের পরে ‘অভিযোগকারীর সম্মতিতে’ ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই দাবি মানতে চাননি। তাঁরা মহিলার ‘সাহস’কে কুর্নিশ জানিয়েছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন, মহিলা ইরানের ধর্মীয় নেতাকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়েছেন। অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘মহিলার ওই একটা আচরণ অনেক কিছু বলে।’’

ইরানে হিজাব-বিতর্ক নতুন নয়। ২০২২ সালে ইরানি তরুণী মাহসা আমিনিকেও হিজাব না-পরার ‘অপরাধে’ তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতিপুলিশ। ২৪ ঘণ্টা যেতে না-যেতেই পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। মাহসার মৃত্যুর পর গোটা ইরানে যখন প্রতিবাদের ঝড় বয়ে গিয়েছিল, সেই সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রতিবাদী এক কুর্দিশ র‌্যাপারকে। সম্প্রতি এই পোশাক-ফতোয়ার প্রতিবাদে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসলামিক আজ়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আহু দারইয়াই প্রকাশ্যে অন্তর্বাস পরে হেঁটেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন