Imran Khan

জামিন চেয়ে ইমরান সশরীরে হাজির হলেন লাহোর হাই কোর্টে, আপাতত এড়ালেন গ্রেফতারি

নিজের দল পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পাক নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে হিংসাত্মক বিক্ষোভ কর্মসূচির অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:২১
Former Pakistan PM Imran Khan appears before Lahore High Court

আপাতত লাহোর হাই কোর্ট স্বস্তি দিল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে। ফাইল চিত্র।

শেষ পর্যন্ত লাহোর হাই কোর্টের নির্দেশ মানলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার বিচারপতি আলি বাখর নাজফির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে সশরীরে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রধান।

লাহোর হাই কোর্ট একটি মামলায় ৩ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জানিনের আবেদন মঞ্জুর করায় আপাতত তাঁর গ্রেফতারির সম্ভাবনা কাটল। সোমবার বিচারপতি নাজফির বেঞ্চ বেআইনি ভাবে দলীয় তহবিলে অনুদান নেওয়ার মামলায় ইমরানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, পিটিআইয়ের সমর্থকদের নিয়ে পাক নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে হিংসাত্মক বিক্ষোভ কর্মসূচির অন্য একটি অভিযোগও রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে এ নিয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা এ নিয়ে মামলা রুজু করেছিল পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। গ্রেফতারি এড়াতে প্রথমে পাক সন্ত্রাস দমন আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ইমরান। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় গত বুধবার লাহোর হাই কোর্টে আইনজীবী মারফত আবেদন জানাতে চেয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু বিচারপতি তারিক সেলিম শেখ জামিনের আবেদনের শুনানি না করে জানিয় দেন, আবেদন জানাতে হলে ইমরানকে সশীরের হাজির হতেই হবে। এর পর ইমরানের গ্রেফতারি ঠেকাতে সমর্থক ও অনুগামীরা লাহোরের জার্মান পার্ক এলাকায় তাঁর বাড়ি ঘিরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। শনিবার প্রাক্তন পাক জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক অনগামীদের সামনে হাজির হয়ে ‘জেল ভরো’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মানলেও এ মামলাটি নিয়ে সোমবার শুনানি হয়নি আদালতে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বেআইনি ভাবে বিক্রি করার অভিযোগে গত অক্টোবরে পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করেছিল সে দেশের নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি জানানো হয়েছিল, ইমরান পরবর্তী ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিল ইমরানের দল।

আরও পড়ুন
Advertisement