সান ফ্রান্সিসকোয় ভোটপর্ব চলছে। ছবি: রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের লড়াইয়ের পাশাপাশি আমেরিকায় সমান্তরাল ভাবে আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে এই পর্বে। তা হল আমেরিকান কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভস ও উচ্চকক্ষ সেনেটের ভোট।
আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ ১০০ সদস্যের সেনেটের ৩৪টি এবং নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসের ৪৩৫ আসনের সবক’টির নির্বাচন হচ্ছে এই দফায়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে প্রার্থীই জিতুক না কেন, নতুন কোনও আইন পাশ করাতে গেলে এই দু’টি কক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে এ ক্ষেত্রে সেনেটের গুরুত্ব খানিকটা হলেও বেশি। বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট-সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে জয়ী প্রার্থীদের নিয়োগপত্র সুপ্রিম কোর্ট পেশ করে সেনেটই। তাই হাউস ও সেনেটের ভোট সাধারণ নির্বাচনের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
বর্তমানে রিপাবলিকানদের দখলে থাকা হাউসে মোট আসন সংখ্যা ৪৩৫টি। প্রতি দু’বছর অন্তর সব ক’টি আসনে ভোট হয়। এখন ট্রাম্পের দলের হাতে রয়েছে ২২০টি। কমলার দলের দখলে ২১২। তিনটি আসন শূন্য। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ২১৮। অন্য দিকে, সেনেট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চায় ৫১টি আসন। ডেমোক্র্যাট সেনেটরের সংখ্যা ৪৭ হলেও চার নির্দলের সমর্থন তাদের দিতে। রিপাবলিকান সেনেটর রয়েছে ৪৯ জন।
সেনেটের ভোট প্রক্রিয়া হাউসের থেকে কিছুটা আলাদা। এখানে এক বার ভোটে জিতলে ছ’বছরের মেয়াদ থাকে। সেনেটের মোট আসনসংখ্যা ১০০টি। আমেরিকার প্রতিটি প্রদেশে দু’জন করে সেনেটর নিযুক্ত থাকেন। সেই হিসেবে মোট ৫০টি প্রদেশে ১০০টি আসনের সবগুলিতে অবশ্য একসঙ্গে ভোট হয় না। প্রতি দু’বছর অন্তর এক তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়। এ বার ভোট হবে ৩৪টি আসনে। সাধারণত নির্বাচনের রাতেই হাউসের ভোটের ফল ঘোষণা হয়ে যায়। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, হাউসে ডেমোক্র্যাটদের এগিয়ে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। সেনেটে রিপাবলিকানদের।