Maoists in Chhattisgarh

ছত্তীসগঢ়ে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই, নিহত তিন মাওবাদী! উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র এবং বিস্ফোরক

শনিবার বিজাপুর এলাকায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই বিস্ফোরণে এক সিআরপিএফ জওয়ান আহত হন। তার পরই জঙ্গল এলাকায় অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫১
Three Maoist killed during encounter in Chhatishgarh bijapur

নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই। —ফাইল চিত্র।

আবার ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাল নিরাপত্তাবাহিনী। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, গুলির লড়াইয়ে তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে বিজাপুর এলাকা থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে বিজাপুর ন্যাশনাল পার্ক এলাকার ঘন জঙ্গলে।

Advertisement

শনিবার বিজাপুর এলাকায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই বিস্ফোরণে সেন্ট্রাল রিজ়ার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) এক জওয়ান আহত হন। তাঁকে বিজাপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার পরই জঙ্গল এলাকায় অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। সেই অভিযানেই তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছিল মাওবাদীদের শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)। ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ বাহিনীর আট জওয়ান এবং গাড়ির চালক ওই হামলায় নিহত হন। বেদ্রে-কুতরু রোডের পাহাড় ও জঙ্গলঘেরা অংশে মাওবাদীদের পাতা ল্যান্ডমাইনের ‘ফাঁদে’ পড়ে ওই গাড়িটি। এই ঘটনার পরেই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইনসন্ধানী যন্ত্র এনে বস্তার জেলা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে আধাসেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বিজাপুরের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় পুঁতে রাখা মোট ২০৬টি বিস্ফোরক খুঁজে পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০০ সালে ছত্তীসগঢ় রাজ্যের সূচনাপর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত ৩,৫৫০টিরও বেশি বোমা বাজেয়াপ্ত করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্য দিকে, এই ২৪ বছরে বিস্ফোরণ হয়েছে ১,১৭০টিরও বেশি বোমা, যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বহু নিরাপত্তাকর্মী। চলতি বছরেও সেখানে মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে আট জন পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন