Saline Controversy

স্যালাইন-কাণ্ড: মেদিনীপুর থেকে তিন প্রসূতিকে নিয়ে আসা হচ্ছে এসএসকেএমে, বানানো হল গ্রিন করিডোর

প্রসূতিদের পরিবারের দাবি, এই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। হাসপাতালের আইসিইউ বিল্ডিংয়ের সামনে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছনোর পরে তাঁরা জানতে পেরেছেন, প্রসূতিদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৪
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। — নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে ভর্তি তিন প্রসূতিকে পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। সন্তান প্রসবের পরে স্যালাইন নিয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গ্রিন করিডোর করে তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। সেখানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হতে চলেছে। যদিও প্রসূতিদের পরিবারের দাবি, এই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না।

Advertisement

মেদিনীপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ বছরের মাম্পি সিংহ, ১৯ বছরের নাসরিন খাতুন এবং ৩১ বছরের মিনারা বিবিকে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা সকলেই আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। দ্রুত কলকাতায় পৌঁছনোর জন্য গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসা হচ্ছে তাঁদের। তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সে থাকবেন ডাক্তার এবং নার্স। তার ব্যবস্থা করেছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও রোগীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁরা এই বিষয়ে কিছু জানতেন না। হাসপাতালের আইসিইউ বিল্ডিংয়ের সামনে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে পৌঁছনোর পরে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওই তিন প্রসূতিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মিনারার ভাই শেখ ইন্তাজ আলি বলেন, ‘‘দেখছি তিনটে অ্যাম্বুল্যান্স এসেছে। কিন্তু কাদের নিয়ে যাওয়া হবে, তা জানি না। যদি আমাদের রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়, তা হলে কেন আগে থেকে জানানো হল না? আমাদেরও তো কোনও প্রস্তুতি নেই।’’

একই দিনে অস্ত্রোপচার করিয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়া পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। তাঁদেরই এক জন মামনি রুইদাসের (২২) মৃত্যু হয় শুক্রবার সকালে। তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। বাকি এক জনের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে জেনারেল শয্যায় পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালের স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসূতিদের যে স্যালাইন এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, তার নমুনা পরীক্ষায় পাঠিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটি গড়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই তদন্ত কমিটিই শনিবার হাসপাতালে গিয়েছিল। যে সংস্থার স্যালাইন কাঠগড়ায়, তাদের তৈরি সব স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement
আরও পড়ুন