Bangladesh Unrest

হাসিনা সরকারের পতনের পরেও বাংলাদেশে হিংসা অব্যাহত, তিন দিনে নিহত হয়েছেন ২৩২ জন!

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ১৬ অগস্টের পর থেকে ক্রমশ তা রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠতে শুরু করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৪ ০৯:১৯
হিংসায় বিরাম নেই বাংলাদেশে।

হিংসায় বিরাম নেই বাংলাদেশে। ছবি: পিটিআই।

প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা ঢাকা ছেড়েছিলেন সোমবার দুপুরে। তার পর থেকে নতুন করে শুরু হওয়া ধারাবাহিক হিংসায় বাংলাদেশে আরও ২৩২ জন নিহত হয়েছেন বলে সে দেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে বুধবার মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।

Advertisement

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ধীরে ধীরে তা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ জুলাই ঢাকা, রংপুর এবং চট্টগ্রাম থেকে সংঘর্ষে প্রাণহানির প্রথম খবর এসেছিল। এর পরে ১৮ জুলাই আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ছাত্র-যুবদের ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ (কমপ্লিট শাটডাউন) কর্মসূচির থেকে শুরু হয় বল্গাহীন হিংসা। ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সংঘাতে মোট ৩২৮ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। অর্থাৎ, গত ২৩ দিনে সে দেশে অন্তত ৫৬০ জন নিহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে হাসিনার ইস্তফা এবং দেশত্যাগের পর সোমবার বিকেল থেকেই একপ্রস্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় পদ্মাপারে। ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় থানাগুলিতে হামলা চলে। অগ্নিসংযোগ হয়। মিরপুর মডেল থানা, বাড্ডা, মহম্মদপুর, যাত্রাবাড়ি, ভাটারা-সহ ঢাকা শহরে একাধিক থানায় সোমবার রাতেও হামলা চলে। খুন হন বেশ কিছু পুলিশকর্মী এবং ক্ষমতাচ্যুত শাসক আওয়ামী লীগের সমর্থক। গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার-সহ কয়েকটি জেল পালানোর সময় কারারক্ষীদের গুলিতে নিহত হন বেশ কিছু বন্দিও।

Advertisement
আরও পড়ুন