গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তমাল শেখ। —প্রতীকী চিত্র।
মুর্শিদাবাদের নওদায় শোভাযাত্রায় গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তমাল শেখ। ধৃত তৃণমূল নেতাকে দলের ব্লক সভাপতি ইন্ধন জুগিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নওদার তৃণমূল বিধায়ক। দায় অস্বীকার ব্লক সভাপতির।
মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘তদন্তে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ধৃত তমাল শেখকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’ তমালের বিরুদ্ধে এক সরকারি কর্মীকে শারীরিক হেনস্থারও অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে নওদার বিডিও দেবাশিস সরকার বলেন, ‘‘ওই সরকারি কর্মী নাকি ফোন ধরেননি! এটা নিয়ে কথা কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। তখনই নাকি হেনস্থা করা হয় বলে শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের সর্বাঙ্গপুরে তৃণমূলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় কর্মীদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের ঝামেলা হয়েছিল। একই রাস্তায় তৃণমূলের মিছিল ও গ্রামে কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় এক যুবক। সেই ঘটনায় সাত দিন পরে গ্রেফতার হন তমাল।
গুলি চালানোর ঘটনায় দলের স্থানীয় ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছে নওদার তৃণমূল বিধায়ক শাহিনা মমতাজ। তিনি বলেন, ‘‘এলাকা জুড়ে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। তাঁর নেতৃত্বেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য দলে। এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ বিধায়কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ব্লক সভাপতি শফিউজ্জামান হাবিব বলেন, ‘‘যে ঘটনায় দল জড়িত নয়, সেখানে বিধায়ক দলকে জড়িয়ে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। উনি নওদায় বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেন। বিরোধীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন।’’