—প্রতীকী ছবি।
শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, পুলিশ কিংবা র্যাব নয়, সোমবার বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে হামলা হয়েছিল সে দেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও। উন্মত্ত জনতার রোষ বিচারবিভাগের উপর আছড়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে সে দেশে। এই আবহে বুধবার আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের উদ্দেশে একটি ফেসবুক পোস্টে শীর্ষ আদালতের বিষয়ে ছ’টি কাজ করা দরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট সংক্রান্ত বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
বিচারপতি আরিফ লিখেছেন, ‘‘বিচারপ্রার্থী মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। দলীয় রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমানে কোনও দলীয় সরকার নেই। তাই নতুন বাংলাদেশের কারিগর, সন্তানতুল্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য দীর্ঘ অভিজ্ঞতার নিরিখে সুপ্রিম কোর্টের এক জন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হিসেবে কথাগুলো বলা আমার নৈতিক দায়িত্ব মনে করছি। কাজগুলি বাস্তবায়িত না হলে সুপ্রিম কোর্ট সব সময় বিতর্কিতই থেকে যাবে এবং তোমাদের স্বপ্নের দেশ গঠনে বড় বাধা হয়ে থাকবে বলে মনে করি।’’
এর পরে ফেসবুক পোস্টে সেই তালিকা দিয়েছেন বিচারপতি আরিফ। বিচারপতি নিয়োগে দলনিরপেক্ষ আইন প্রণয়ন, হাই কোর্ট বিভাগের বেঞ্চ গঠনে প্রধান বিচারপতির একচ্ছত্র ক্ষমতায় রাশ টানা (চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের ব্যবস্থা রাখা), হাই কোর্ট বিভাগের জিএ কমিটি এবং জাজেস কমিটি গঠনে প্রধান বিচারপতির একচ্ছত্র ক্ষমতায় লাগাম টানা, বিচারপতিদের পারস্পরিক সিনিয়রিটি না মেনে আপিল বিভাগে নিয়োগ সাংবিধানিক ভাবে বন্ধ করা, আপিল বিভাগের বিচারকদের সিনিয়রিটি না মেনে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সাংবিধানিক ভাবে বন্ধ করা এবং দুর্নীতি ও পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধের উদ্দেশে বিচারপতি এবং সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সাংবিধানিক পদ্ধতি প্রণয়ন করার কথা বলা হয়েছে সেই প্রস্তাবে।