মন্ত্রী সুজিত বসু (বাঁ দিকে) এবং মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে রবিবার তৃণমূলের সভা হচ্ছে না। বদলে ওই দিন সন্দেশখালি যাবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁরা গিয়ে সন্দেশখালির স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন এবং একই সঙ্গে ঘোষণা করবেন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের সভা কবে হতে চলেছে। রাজ্যে চলতে থাকা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরাদের গ্রেফতারির দাবিতে এক সপ্তাহ আগে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির মানুষ। তার পর থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালির পরিস্থিতি। এই নেতাদের বিরুদ্ধে এলাকায় অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই পরিস্থিতি যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সন্দেশখালিতে হাতিয়ার করে শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করছে, তখন পাল্টা তৃণমূলও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটি সভা করবে বলে ঘোষণা করেছিল। রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি সেই সভা হওয়ার কথা ছিল সন্দেশখালিতে। কিন্তু শনিবার ওই সভার দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। তাই পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। কারণ, সভার জন্য মাইক বাজানো হলে এলাকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার অসুবিধা হতে পারে। তাই আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৩ মার্চ তৃণমূলের ওই সভা হবে।
তবে সভা না হলেও রবিবার শাসকদল তৃণমূলের সন্দেশখালি কর্মসূচি পুরোপুরি বাতিল হচ্ছে না। রবিবার রাজ্যের সেচ এবং শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী পার্থ এবং দমকলমন্ত্রী সুজিতকে রবিবার পাঠানো হবে সন্দেশখালিতে। তাঁরা সেখানে গিয়ে কথা বলবেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করবেন। কথা বলবেন পরিস্থিতি নিয়ে। একই সঙ্গে আগামী ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক সভা করার কথা ঘোষণা করবেন তারা। ওই সভায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সব প্রথম সারির নেতা হাজির হবেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।