আলমাসই একমাত্র চতুর্থ এশিয়ান ইউথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটার দৌড়ের জন্য কোয়ালিফাই করেছিলেন। নিজস্ব চিত্র।
কুয়েতে ২০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় শনিবার ভারতের হয়ে কেউ দৌড়বে না। এই যন্ত্রণাই কুরে কুরে খাচ্ছে আলমাস কবীরকে। কারণ দেশের হয়ে রায়গঞ্জের তিওরডাঙ্গির আলমাসই একমাত্র চতুর্থ এশিয়ান ইউথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটার দৌড়ের জন্য কোয়ালিফাই করেছিলেন। কিন্তু পাসপোর্টে ভুলের কারণে আর কুয়েত যাওয়া হল না আলমাসের।
রায়গঞ্জের ছোট গ্রামের বাসিন্দা আলমাসের ব্যাগে এখনও থরে থরে সাজানো এশিয়ান ইউথ অ্যাথলেটিকসের জার্সি, ট্র্যাক শ্যুট-সহ আরও অনেক সরঞ্জাম। কিন্তু ভিসাটাই পেলেন না আলমাস। নিয়ম, অন্য দেশের ভিসা পেতে গেলে পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতেই হয়। এসব কিছুই জানতেন না আলমাস বা তাঁর পরিবার বা তিওরডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দারা। কারণ তাঁরা কেউ কখনও দেশের বাইরে যাননি।
আলমাসের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘তৎকাল পাসপোর্ট করতে কলকাতায় গিয়েছিলেন আলমাস। পাসপোর্ট অফিসে বলা হয়েছিল, আলমাস দেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছে নকুয়েতে। তবে কেনও তার পাসপোর্টের ভ্যলিডিটি কম করে দেওয়া হল?’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সময় থাকতেও টিম ম্যানেজার কেন সেই ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা নিলেন না?’’
আলমাস আদ্যন্ত এক স্পোর্টস ম্যান। তাই কুয়েত যেতে না পারলেও পরের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছেন। রবিবার রাতে কলকাতার সাই ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন। ভারতের জন্য পদক আনাই তাঁর জীবনের লক্ষ্য। একেই বোধ হয় বলে স্পোর্টস ম্যান স্পিরিট।