Micro Finance

ক্ষুদ্রঋণে সমস্যার ছবি সমীক্ষায়

ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সংস্থা ক্রিফ হাইমার্ক জানাচ্ছে, গত জুনের শেষে দেশে ১-৩০ দিন বকেয়ার হার ১.২% থেকে পৌঁছেছিল ২.১ শতাংশে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৩
বারবার ধরা পড়েছে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলির সমস্যা।

বারবার ধরা পড়েছে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলির সমস্যা। —প্রতীকী চিত্র।

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম থেকেই বারবার ধরা পড়েছে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলির সমস্যা। যা সামলাতে পদক্ষেপ করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। সমস্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে একই ব্যক্তিকে একাধিক সংস্থার ঋণ দেওয়া, চড়া সুদকে। এ বার এক সমীক্ষাতেও ধরা পড়ল এই ক্ষেত্রের বিপাকে পড়ার ছবি। ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সংস্থা ক্রিফ হাইমার্ক জানাচ্ছে, গত জুনের শেষে দেশে ১-৩০ দিন বকেয়ার হার ১.২% থেকে পৌঁছেছিল ২.১ শতাংশে। ৩১-৮০ দিনের ক্ষেত্রে তা ২.৭% থেকে ওঠে ৪.৩ শতাংশে। এর পরেই মাঠে নামে সংস্থাগুলি। যার হাত ধরে সেপ্টেম্বরে ক্ষুদ্রঋণে বকেয়া ৪.৩ শতাংশে বা ৪.১৪ লক্ষ কোটি টাকায় নেমেছে।

Advertisement

সমীক্ষা বলছে, মূলত বিহার, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ এবং ওড়িশাতেই দুই-তৃতীয়াংশ অনাদায়ি ঋণ তৈরি হয়েছে। পরে সংস্থাগুলি সতর্ক পদক্ষেপ করায় বকেয়ার হালে উন্নতি হয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বরে এনবিএফসিগুলি ঋণ বাড়িয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক বা স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে তা কমেছে।

ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলির সংগঠন এমফিন-এর চেয়ারম্যান মনোজ নামবিয়ারের মতে, “রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ, নির্দিষ্ট সময়ে এক জন গ্রাহকের ঋণ যাতে ২ লক্ষ টাকার বেশি না হয়। এক জনকে একই সঙ্গে ৪টির বেশি সংস্থা ঋণ দিতে পারবে না। এর হাত ধরে জানুয়ারি থেকে ঋণ শোধের ছবি উন্নত হবে বলে আশা।’’ সম্পূর্ণা মাইক্রো ফিনান্সের এমডি অভিজিৎ বেরা বলেন, “এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে তাপপ্রবাহ, অতিবৃষ্টিতে গ্রামের মানুষের একাংশ সমস্যায় পড়েছিলেন। তাই অনেকে ঋণ শোধ করতে পারেননি। তবে ইতিমধ্যেই টাকা মোটনোর হার বেড়েছে। আশা, জানুয়ারি থেকে সমস্যা মিটবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন