ED

মানিকের ছেলের সংস্থার সঙ্গে কোটি টাকার চুক্তি, সেই সংস্থার দফতরে শনিবার তল্লাশি ইডির

ইডির জমা দেওয়া রিমান্ড বা আর্জিতে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর সৌভিকের সংস্থা ‘অ্যাকুয়ের কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস’-এর সঙ্গে চুক্তি হয় ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ২০:৩৫
সিল করা হয়েছে ১৮, কার্তিক বোস লেনের একটি ফ্ল্যাট, যার বাইরে বোর্ডে লেখা ছিল ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’।

সিল করা হয়েছে ১৮, কার্তিক বোস লেনের একটি ফ্ল্যাট, যার বাইরে বোর্ডে লেখা ছিল ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’। নিজস্ব চিত্র।

শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের সংস্থার সঙ্গে যে ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর কোটি কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল, তারই দফতরে শনিবার তল্লাশি চালাল ইডি। তাদের অভিযোগ, এই চুক্তির পরিবর্তে যে পরিষেবা প্রদানের কথা ছিল সৌভিকের সংস্থার, তা কোনও দিনই দেওয়া হয়নি। এই সংস্থার হোর্ডিং ঝুলছিল ডাক্তার কার্তিক বোস লেনের ফ্ল্যাটের বাইরে, শনিবার সকালে যেখানে তল্লাশি চালায় ইডি। সংস্থার নথিভুক্ত দফতরের ঠিকানাও রয়েছে হোর্ডিংয়ে, যা রয়েছে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোডের আইডিয়াল হাইট ব্লক আবাসনে। সেখানেও শনিবার তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। যদিও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।

ইডির জমা দেওয়া রিমান্ড বা আর্জিতে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর সৌভিকের সংস্থা ‘অ্যাকুয়ের কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস’-এর সঙ্গে চুক্তি হয় ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর। এর অধীনে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাবদ ৫০ হাজার টাকা হিসাবে মোট দু’কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল সৌভিকের সংস্থাকে। ইডির অভিযোগ, এই টাকার বিনিময়ে কোনও পরিষেবাই দেয়নি সৌভিকের সংস্থা। সেই টাকা ফিরিয়েও দেওয়া হয়নি। তদন্তকারীদের দাবি, সৌভিকের সংস্থার মাধ্যমে তা নিয়ে আসলে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক।

Advertisement

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শনিবার সকাল থেকে বারাসত, কলকাতা ও সল্টলেক মিলিয়ে ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সিল করা হয়েছে ১৮, কার্তিক বোস লেনের একটি ফ্ল্যাট, যার বাইরে বোর্ডে লেখা ছিল ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’। প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, ওই ফ্ল্যাটটি বিভাস অধিকারীর। ইডির দাবি, তাঁর সঙ্গে যোগ ছিল মানিকের।

বিভাসের এক প্রতিবেশী রাধা মোদক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটটিতে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন যাতায়াত করতেন। ফ্ল্যাটে যাঁরা আসতেন, তাঁরা মূলত রাতের দিকে আসতেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, খুব বড় বড় ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাটে আসতেন লোক জন। বিভাসের সঙ্গে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা থাকতেন।

আরও পড়ুন
Advertisement