দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু দুই যুবকের। —ফাইল চিত্র।
সিদ্ধ করতে স্টোভে ছোলা বসিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন দুই যুবক। সকালে ঘর থেকে উদ্ধার করা হল তাঁদের নিথর দেহ। সারা রাত স্টোভ চালু থাকায় ঘরের ভিতর দমবন্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। দু’জনের কারও দেহেই আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। তাঁদের ঘরের ভিতর কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল, কমে গিয়েছিল অক্সিজেন।
নয়ডার সেক্টর ৭০ এলাকার ঘটনা। মৃতদের নাম উপেন্দ্র (২২) এবং শিবম (২৩)। তাঁরা রাস্তার ধারে একটি খাবারের স্টল চালাতেন। সেখানে বিক্রি করতেন ছোলে-ভাটুরে এবং কুলচা। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্টলে বিক্রির জন্যই রাতে ছোলা সিদ্ধ করতে বসিয়েছিলেন দুই যুবক। স্টোভ চালু রেখেই ঘুমিয়ে পড়ায় এই অঘটন। ছোলা পুড়ে গিয়ে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল ঘর। সকালে বাইরে থেকেও সেই ধোঁয়া দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা দরজা ভাঙেন এবং দু’জনকে ঘরের ভিতরে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। নয়ডা সেন্ট্রাল জ়োনের এসিপি রাজীব গুপ্তা বলেন, ‘‘সারা রাত ধরে স্টোভে ছোলা ‘সিদ্ধ’ হয়েছে। সারা ঘর ধোঁয়া এবং বিষাক্ত গ্যাসে ভরে গিয়েছিল। বাড়ির দরজাও বন্ধ ছিল। ফলে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল ঘরের ভিতর। তাই দমবন্ধ হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’’
দু’জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। সেই রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে কেন ছোলা সিদ্ধ করতে বসিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন তাঁরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।