শুভেন্দুর হাত ও পাঁজর ভেঙে দেওয়ার হুমকি অখিল গিরির। — ফাইল ছবি।
নন্দীগ্রামে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। নন্দীগ্রাম-সহ জেলায় কোথাও বিশৃঙ্খলা ছড়াতে চাইলে শুভেন্দুর হাত ও পাঁজর ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত)। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। প্রতিমন্ত্রী বলে অখিলকে তারা ‘হাফপ্যান্ট মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষও করেছে।
গোলমালের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের করপল্লিতে পৃথক ভাবে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল ও বিজেপি। সভা শেষে গভীর রাতে তৃণমূলের শহিদ মঞ্চে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল নন্দীগ্রাম। গোকুলনগরে পথ অবরোধও করে তৃণমূল। সেই ঘটনার কথা শুনে নন্দীগ্রামে ছুটে যান পূর্ব মেদিনীপুরের সাংগঠনিক সমন্বয় সাধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মন্ত্রী অখিল গিরি-সহ অন্য নেতারা। সেই সভাতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ শানান অখিল। সেখানে তিনি বলেন, “শুভেন্দু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে খুব বাড়াবাড়ি করছে। মেরে ওর হাত ভেঙে দেব। পাঁজরও ভাঙব। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না বলে আমি চুপ আছি। না হলে ওর পাঁজর ভেঙে দিতাম। আমরা রাস্তায় নামি না বলে চুপ আছি। তবে সব সময় চুপ থাকব না। দলকে বাঁচাতে সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপাব।’’
অখিলের হুঁশিয়ারির জবাব দিয়েছে বিজেপিও। নন্দীগ্রামের পাশের কেন্দ্র ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, ‘‘হাফপ্যান্ট মন্ত্রী এই কথাগুলো বলছেন। কাল (বৃহস্পতিবার) শুভেন্দুবাবুর জনসভা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছেন। সেই ভয় থেকেই এই সব প্রলাপ বকছেন। ওঁরা পুলিশ নির্ভর রাজনীতি করেন। পুলিশকে বাদ দিয়ে রাজনীতি করুন, আমরা জবাব দেব। বিরোধী দলনেতাকে যে ভাবে অপমান করা হচ্ছে তার জবাব দেবে পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ।’’
তবে শুধু শুভেন্দুই নয়, অখিলের রোষের মুখে পড়েছে নন্দীগ্রামের পুলিশও। অখিল বলেন, ‘‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম জুড়ে জমায়েত হবে। প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা বলি, আপনারা আগুন নিয়ে খেলবেন না।”