কারখানায় উৎপাদন বেড়েছে ৫.৮%। তার আগের বছর যা ছিল মাত্র ১.৩%। —প্রতীকী চিত্র।
অবশেষে কিছুটা স্বস্তি দিল শিল্প। শুক্রবার সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, গত নভেম্বরে শিল্পবৃদ্ধির হার তার আগের বছরের তুলনায় বেড়ে ৫.২% ছুঁয়েছে। যা ছ’মাসে সর্বোচ্চ। ২০২৩-এর নভেম্বরে তা তলিয়ে গিয়েছিল ২.৫ শতাংশে। আর গত অক্টোবরে ৩.৭ শতাংশে থমকে যায়। পরিসংখ্যান মন্ত্রকের দাবি, মূলত উৎসবের জন্য চাহিদা বৃদ্ধি এবং কল-কারখানায় মাথা তোলা উৎপাদনের গতিই এর কারণ। কারখানায় উৎপাদন বেড়েছে ৫.৮%। তার আগের বছর যা ছিল মাত্র ১.৩%।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, উন্নতি বহাল থাকবে তো? বিশেষজ্ঞদের একাংশও মনে করেন, নভেম্বরের বৃদ্ধি উৎসবকে ঘিরে কেনাকাটার প্রতিফলন বলেই আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে। কারণ, শিল্পের চাকায় গতি ধরে রাখতে অন্যান্য সময়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে চাহিদা থাকতে হবে। শুধু প্রয়োজন মেটানোর কেনাকাটা হলে চলবে না। চাহিদা এবং উৎপাদনে জ্বালানি জোগাতে তাঁদের হাতে থাকতে হবে খরচের বাড়তি টাকাও। এর আগে মে মাসে ৬.৩% হয়েছিল শিল্পবৃদ্ধি। এপ্রিল-নভেম্বরের বৃদ্ধি অবশ্য ৪.১% ছিল। ২০২৩-২৪ সালের ওই সময় তা ছিল ৬.৫%।
আইসিএআই-এর পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন কর্তা অনির্বাণ দত্তের দাবি, ‘‘তৃতীয় দফার মোদী জমানায় এটাই শিল্পবৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার। জানুয়ারি-মার্চের জন্যেও যা আশার রুপোলি রেখা দেখিয়েছে। তবে এই বৃদ্ধি হয়েছে উৎসবের মরসুমে চাহিদা বাড়ায়। যার প্রভাব আগামী মাসগুলিতে বহাল থাকার সম্ভাবনা থাকলেও অনিশ্চয়তা এবং সংশয় কাটেনি। কারণ, সব সময় উৎসবের কেনাকাটা চলবে না। ভাল পরিসংখ্যান আগেও এসেছে। চাহিদার অভাব তা স্থায়ী হয়নি।’’