Anandapur Restaurant

রেস্তরাঁয় হামলা চালানোর ঘটনায় আনন্দপুর থেকেই গ্রেফতার আরও এক জন, পুলিশের জালে মোট চার

সোমবার রাতে আনন্দপুর এলাকার একটি রেস্তরাঁয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রেস্তরাঁর ম্যানেজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় আগে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ০৯:২৭

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি

কলকাতার আনন্দপুরের রেস্তরাঁয় হামলা চালানোর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোর ৩টে নাগাদ আনন্দপুর থেকেই গ্রেফতার করা হয় হামলা চালানোর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বছর চব্বিশের বিশ্বজিৎ মণ্ডল ওরফে টাইগারকে। রেস্তরাঁয় হামলা চালানোর ঘটনায় বিশ্বজিৎকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ ওরফে টাইগার আনন্দপুর থানা এলাকার মুন্ডাপাড়ার বাসিন্দা। আনন্দপুরের রেস্তরাঁয় হামলা চালানোর ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে ওই এলাকা থেকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতে আনন্দপুর এলাকার একটি রেস্তরাঁয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রেস্তরাঁর ম্যানেজার নারায়ণ সিংহ এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সঞ্জয় দাস নামের এক ব্যক্তি সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দলবল নিয়ে তাঁর রেস্তরাঁয় হামলা চালান। তাঁর সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন ছিলেন। প্রত্যেকের হাতে লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পায় পুলিশ। তা দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়।

মঙ্গলবার দীপঙ্কর দাস এবং মহীন্দ্রপ্রসাদ গুপ্ত নামের দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল আনন্দপুর থানার পুলিশ। দু’জনেই আনন্দপুরের বাসিন্দা। বুধবার ধরা পড়লেন মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ও। তিনি নেতাজি সুভাষনগর কলোনির বাসিন্দা। হামলার নেতৃত্বে তিনিই ছিলেন বলে অভিযোগ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে, কোন আক্রোশ থেকে রেস্তরাঁয় ভাঙচুর চালালেন সঞ্জয় এবং তাঁর সঙ্গীরা, রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগে থেকে তাঁদের কোনও বচসা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগ, রেস্তরাঁয় ঢুকে কোনও কারণ ছাড়াই ভাঙচুর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। সেখানকার কর্মীদের মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় সিসি ক্যামেরাও। শুধু তা-ই নয়, রেস্তরাঁর বাইরে দাঁড় করানো কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। হামলার জেরে রেস্তরাঁর কয়েক জন কর্মী জখম হন।

আরও পড়ুন
Advertisement