ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজধানী দিল্লি। জল উপচে পড়া নর্দমায় ভেসে গিয়ে মৃত্যু হল মা এবং তিন বছরের শিশুপুত্রের। দুর্যোগের কারণে দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দিল্লিতে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত ১৪ বছরে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি দিল্লিতে কখনও হয়নি। বৃহস্পতিবারও সারা দিন রাজধানীতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী সোমবার অবধি দিল্লিতে বৃষ্টি চলতে পারে।
ভারী বৃষ্টি এবং রাজধানীর নানা জায়গায় জল জমার কারণে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য সতর্ক প্রশাসন। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী মারলেনা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিল্লির সব স্কুল বন্ধ থাকছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই দিল্লির নানা রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। জরুরি কাজে বেরিয়ে অসুবিধার মুখে পড়েন অনেকেই। ব্যাহত হয় বিমান চলাচলও। ভারী বৃষ্টিতে দিল্লি বিমানবন্দরে জল জমায় এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় অন্তত ১০টি বিমানকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কিছু বিমান নেমেছে রাজস্থানের জয়পুর বিমানবন্দরে। কিছু বিমান উত্তরপ্রদেশের লখনউ বিমানবন্দরে।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় গাজিপুর এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বেরিয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণী এবং তাঁর তিন বছরের শিশুপুত্র। কিন্তু একটি নির্মীয়মাণ নর্দমায় পড়ে গিয়ে জলে ভেসে যান তাঁরা। পরে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, নির্মীয়মাণ নর্দমাটির গভীরতা ছিল ১৫ ফুট। চওড়ায় ছিল ৬ ফুট। এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছে পুলিশ।
অন্য দিকে, উত্তর দিল্লির সব্জি মান্ডি এলাকায় বাড়ি ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন এক জন। বসন্তকুঞ্জে দেওয়াল ভেঙে আহত হয়েছেন এক মহিলা। দরিয়াগঞ্জ এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের পাঁচিল ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি।