টানা ১০০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। —প্রতীকী চিত্র।
শিয়ালদহ-ডানকুনি শাখায় বালিঘাট এবং বালি হল্ট স্টেশনের মধ্যে সিসিআর-১৫ সেতুর গার্ডার বদলের জন্য আগামী ২২ জানুয়ারি, বুধবার মাঝরাত থেকে ২৭ জানুয়ারি সোমবার ভোর ৪টে পর্যন্ত ওই শাখায় নির্দিষ্ট অংশে টানা ১০০ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ওই কাজের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ এর আগে শিয়ালদহ-ডানকুনির মধ্যে ২২ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন। শুক্রবার ডানকুনি ছাড়াও বারুইপাড়া, বর্ধমান, মধ্যমগ্রাম, ক্যান্টনমেন্ট, দত্তপুকুর, কল্যাণী সীমান্ত এবং নৈহাটি-ব্যান্ডেল শাখা মিলে আরও ১৭ জোড়া ট্রেন বাতিল থাকার কথা জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
নতুন করে বাতিল হওয়া লোকালের মধ্যে রয়েছে বারুইপাড়া শাখার দু’জোড়া, কল্যাণী সীমান্ত শাখায় তিন জোড়া, মধ্যমগ্রাম, বর্ধমান, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এবং দত্তপুকুর শাখায় এক জোড়া করে মোট চার জোড়া ট্রেন। এ ছাড়া, নৈহাটি-ব্যান্ডেল শাখায় আট জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে।
এত ট্রেন বাতিল থাকার কারণে ডানকুনি থেকে দক্ষিণেশ্বর হয়ে বি টি রোড পর্যন্ত অংশে যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। সমস্যা দূর করতে শুক্রবার পরিবহণ ভবনে দফতরের সচিব, আধিকারিকদের নিয়ে রেল, বেসরকারি বাসমালিক সংগঠন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে কলকাতামুখী সব বাস পুরনো বালি সেতু ধরে দক্ষিণেশ্বর হয়ে চলবে। অন্য দিকে, কলকাতা থেকে ডানকুনির দিকে যাচ্ছে, এমন সব বাস বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে নিবেদিতা সেতুর উপর দিয়ে যাবে। ওই পথে যাত্রীদের দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার প্রয়োজন হলে সেতু পেরিয়ে ফের ডানকুনির দিক থেকে দক্ষিণেশ্বরমুখী বাস ধরতে হবে। জাতীয় সড়কে পারাপারের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা এড়াতে পুরো ব্যবস্থা একমুখী করা হয়েছে বলে খবর। ওই সময়ে বেসরকারি বাসের ডানকুনির দিকে যাওয়ার জন্য নিবেদিতা সেতুর টোল প্লাজ়ায় যে টাকা দিতে হয়, তা রেল কর্তৃপক্ষ মেটাবেন। ওই সময়ে একাধিক রুটের সরকারি ও বেসরকারি বাস ওই পথ দিয়ে চলবে।
সেতুর কাজের জন্য দূরপাল্লার কয়েকটি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসও বাতিল করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ এবং শিয়ালদহ-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস এই সময়ে হাওড়া থেকে ছাড়বে।