দমদমের ঝুপড়িতে আগুন। ছবি: অভিজিৎ দাস।
দমদমের ছাতাকল এলাকার এক বস্তিতে আচমকাই আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। শনিবার দুপুরে দমদমের সুধীর শূর কলেজের পিছনের ওই বস্তিতে আগুন লাগে। পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। সেই সঙ্গে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে অনেক দূর থেকেই। আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন।
আগুন লাগার ঘটনা নজরে আসতে প্রথমে এগিয়ে আসেন স্থানীয়েরা। বস্তির পাশে থাকা খাল থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন তাঁরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের।
অন্য দিকে, ইতিমধ্যেই একাধিক বস্তি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই যে, দ্রুত আগুন ছড়াতে শুরু করেছে আশপাশের এলাকায়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশও। দমকলকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়েরাও আগুন নেভাতে সাহায্য করছেন। কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয়দের মতে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। সুজিত বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়েই এলাকায় এসেছি। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। আগুন নেভানোর কাজ করতে আমাদের রোবট আছে। সেই রোবট কাজে লাগানো হবে।’’ সৌগত বলেন, ‘‘দমকল তাদের মতো কাজ করছে। আগুনে অনেকের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের প্রাথমিক কাজ এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা। তার পর অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্য়বস্থা করা হবে সরকারের তরফ থেকে।’’
ঘটনাস্থলে রয়েছেন দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন লাগল, তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখতে হবে। তবে এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনাই প্রথম কাজ। সকলকে বলব, হাতে হাত লাগিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করতে। মানুষের সুরক্ষাই এখন সবচেয়ে চিন্তার বিষয়।’’ বস্তিতে অনেক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে। স্থানীয়দের কথায়, বস্তির ৪০ থেকে ৫০টি ঘর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বস্তিবাসীরা।