Lovers fighting in the road

‘কথা ছিল দু’জনে বিষ খাব, তুই কেন খাসনি?’ হুগলিতে প্রেমিককে মার প্রেমিকার, পরকীয়া-ঝঞ্ঝাটে যানজটও!

যুবতীর অভিযোগ, কথা মতো তিনি বিষপান করেছিলেন। কিন্তু প্রেমিক আত্মহত্যার চেষ্টাই করেননি। এমনকি, তিনি যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তখনও দেখা পাননি প্রেমিকের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৭
premik

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কোন্নগর শকুন্তলা কালীবাড়ির মাঠে চলছে বইমেলা। সন্ধ্যা নামতেই রাস্তায় প্রচণ্ড ভিড়। যানজট লেগেই ছিল। তার মধ্যে প্রেমের জটে রাস্তায় থমকে গেল সমস্ত গাড়ি। রাস্তার উপরে এক যুবকের জামার কলার ধরে মারছেন এক যুবতী। তাঁর সঙ্গে দুই যুবতীও উত্তেজিত। তাঁদের রাস্তা থেকে সরাতে গিয়ে হিমশিম খেলেন পথচলতি মানুষেরা। ডাকতে হল পুলিশ। দু’জনকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পরিষ্কার হল গন্ডগোলের কারণ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রিষড়ার দুই যুবক-যুবতীর অনেক দিনের প্রেমের সম্পর্ক। দু’জনেই বিবাহিত। প্রেমের জন্য দু’জনেই বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়ার পথে হেঁটেছেন। কিন্তু পারিবারিক অশান্তিতে আর একসঙ্গে থাকা হয়ে উঠছিল না তাঁদের। তাই দু’জনেই স্থির করেছিলেন বিষ খেয়ে জীবন শেষ করে দেবেন। যুবতীর অভিযোগ, কথামতো তিনি বিষপান করেছিলেন। কিন্তু প্রেমিক আত্মহত্যার চেষ্টাই করেননি। তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। তখনও দেখা নেই প্রেমিকের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে অনেক বার প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিফল হন। দেখেন, সমাজমাধ্যমে তাঁকে ‘ব্লক’ করে দিয়েছেন প্রেমিক। ফোন করেও পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার হঠাৎ প্রেমিককে দেখতে পান কোন্নগরের রাস্তা। তাই আর নিজের রাগ চেপে রাখতে পারেননি। সঙ্গীদের নিয়ে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়েছিলেন প্রেমিককে। যুবতীর কথায়, ‘‘দু’দিন যমে-মানুষে টানাটানির পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরি। ওর দেখা পাইনি।’’ অন্য দিকে, প্রেমিক কোনও কথা বলেনি। তিনি নিরুত্তর ছিলেন পুলিশের কাছেও।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যুবককে মারধর করার সময় নানা অনুযোগ করেছেন যুবতী। বিষয়টি যে প্রণয়ঘটিত, তা সকলে বুঝতে পারেন। কিন্ত তাঁদের রাস্তা থেকে সরানো যায়নি। যার ফলে যানজট হয় রাস্তায়। এমন নাটকীয় পরিস্থিতি দেখতে রাস্তায় ভিড় জমে যায়। শেষমেশ কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ এসে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনেই বিবাহিত। তাঁদের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দু’পক্ষকেই পুলিশ ফাঁড়িতে ডাকা হয়। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন