HMPV Precaution

এইচএমপিভির সংক্রমণে কাদের নিয়ে চিন্তা? কারা বেশি সতর্ক হবেন?

ডিসেম্বরে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হয়েছেন ন’জন। তাঁদের কারও মৃত্যু না হলেও রোগে ভুগেছেন। সংখ্যাটি আতঙ্কিত হওয়ার মতো না হলেও এইচএমপিভি থেকে আগাম সতর্ক হওয়াই যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:১১

—ফাইল চিত্র।

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় একট পরিসংখ্যানে এ-ও জানা গিয়েছে যে, ওই ভাইরাস অনেক দিন ধরেই রয়েছে ভারতে। ডিসেম্বরে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হয়েছেন ন’জন। তাঁদের কারও মৃত্যু না হলেও রোগে ভুগেছেন। সংখ্যাটি আতঙ্কিত হওয়ার মতো না হলেও এইচএমপিভি থেকে আগাম সতর্ক হওয়াই যায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় সবার নেই। তবে কারও কারও আছে।

Advertisement

কাদের এইচএমপিভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?

বয়সজনিত জৈবিক কারণে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক আশিস নন্দী। এইচএমপিভি থেকে যাঁদের ঝুঁকি বেশি, তাঁদের তিনি চারটি ভাগে ভাগ করেছেন।

১। শিশু এবং বালক-বালিকা

কেন ঝুঁকি? চিকিৎসকের মতে, এদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যেহেতু পরিণত হয়নি, তাই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কী হতে পারে? ফুসফুসে সংক্রমিত হয় এমন যেকোনও ভাইরাসের মতোই হবে এইচএমপিভির উপসর্গ। জ্বর, কাশি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া। খুব ছোট শিশুদের হাইপক্সিয়া এবং ডিহাইড্রেশনও হতে পারে।

২। বয়স্করা

কেন ঝুঁকি? বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রোগপ্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হয়। ফলে যেকোনও সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কমে।

কী হতে পারে? সিওপি়ডির বা হার্ট ফেলের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে এইচএমপিভি।

৩। কোমর্বিডিটি থাকলে

কেন ঝুঁকি? অ্যাস্থমা, ডায়াবিটিস থাকলে বা যেকোনও রোগ যা রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে দুর্বল করে দেয়, তা থাকলে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা কমবে।

কী হতে পারে? রোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, নতুন কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। সেরে উঠতে দেরি হতে পারে।

৪। অপুষ্টির সমস্যা থাকলে

কেন ঝুঁকি? পুষ্টির অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের তথ্য বলছে, না খেতে পাওয়া জনগণের সংখ্যার মাপকাঠিতে ভারতের নম্বর ২৮.৭। যা মোটেই ভাল নয়। ২০২৩ সালের তথ্য বলছে ভারতে ৩৯ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায় না।

কী ভাবে সতর্ক হবেন?

রোগ আসতেই পারে। তবে সতর্ক থাকলে তার প্রভাব অনেকটাই এড়ানো যায়। এড়ানো যায় শারীরিক ক্ষতিও। চিকিৎসক নন্দী বলছেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়ের পাশাপাশি যাপনেও বদল আনা দরকারি।

১। টিকা: এইচএমপিভি ভাইরাসের জন্য টিকা না বেরোলেও ভবিষ্যতে তেমন টিকা বেরোলে তা নিয়ে নেওয়া উচিত।

২। চিকিৎসা: চিকিৎসক নন্দীর মতে মোনোক্লোনার অ্যান্টিবডিজ় রোগপ্রতিরোধ শক্তিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

৩। পরীক্ষা: উপসর্গ দেখলে এইচএমপিভির পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভাল।

৪। অসুখের যত্ন: যাঁদের ডায়াবিটিস বা অ্যাস্থমা রয়েছে, তাঁরা নিজের অসুখের পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখুন। দরকার হলে যত্ন নিন।

৫। যাপন বদল: নিয়মিত হাত ধোয়া, মুখে-নাকে হাত না দেওয়া, মাস্কের ব্যবহার এবং জমায়েত এড়িয়ে চলা।

Advertisement
আরও পড়ুন