লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে চলছে সংস্কারের কাজ। ছবি: সমাজমাধ্যম।
আদৌ কি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তৈরি পাকিস্তানের তিন স্টেডিয়াম। ছবি বলছে, না। এখনও অনেক কাজ বাকি। এ দিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভির মুখে উল্টো কথা। তিনি জানিয়েছেন, কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। সময়ের আগেই স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে যাবে। এই বিতর্কের মাঝেই বড় পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ত্রিদেশীয় সিরিজ়ের মাঠ বদলে দিয়েছে তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু ১৯ ফেব্রুয়ারি। তার আগে পাকিস্তান, নিউ জ়িল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ় হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু সেই সিরিজ়। তিনটি দলই একে অপরের বিরুদ্ধে একটি করে ম্যাচ খেলবে। ফাইনাল হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। মূলত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি হিসাবেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রথমে ঠিক ছিল, মুলতানে হবে এই ত্রিদেশীয় সিরিজ়। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়াম ও করাচির লাহোর স্টেডিয়ামে খেলাগুলি হবে। জানা গিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে মাঠগুলি কতটা তৈরি তা দেখে নিতে চাইছে পাক বোর্ড। সেই কারণে, লাহোর ও করাচিতে খেলা হবে। তা হলে পিচের সঙ্গেও ক্রিকেটারেরা সরগর হয়ে যাবেন।
পাকিস্তানের লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ। তিনটি মাঠেই সংস্কারের কাজ চলছে। কিন্তু দেখে বোঝা যাচ্ছে, সংস্কার নয়, তিনটি স্টেডিয়ামেই আমূল বদল হচ্ছে। স্টেডিয়ামের বাইরের অংশ থেকে শুরু করে গ্যালারি, সাজঘর, শৌচাগার সব জায়গায় কাজ চলছে। এমনকি, মাঠের আউটফিল্ডও তৈরি নয়। দর্শকাসনে রং বাকি। প্লাস্টারের কাজও বাকি। স্টেডিয়ামের বাইরে ইটের স্তুপ পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। তিনি আশার কথা শুনিয়েছেন। নকভি বলেন, “গদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্লাস্টারের কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত কাজ চলছে। সময়ের মধ্যে সব শেষ হয়ে যাবে।” তিনি আশার কথা শোনালেও ছবি অন্য কথা বলছে। এমনিতেই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে সময় দিয়েছে আইসিসি। কিন্তু তার মধ্যেও সব কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
কয়েক দিন আগে পাকিস্তানের স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে গিয়েছে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলের এক আধিকারিক বলেন, “স্টেডিয়ামের হাল দেখে আমরা হতাশ। এখনও অনেক কাজ বাকি। স্টেডিয়ামগুলো সংস্কার হচ্ছে না। ভেঙে নতুন করে তৈরি হচ্ছে। দর্শকাসন, ফ্লাডলাইট, থেকে শুরু করে মাঠের আউটফিল্ডও তৈরি নয়।” কোনও রকমে তাড়াহুড়ো করে সেই কাজ শেষ করা যাবে না। কারণ, আইসিসি প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হলে আইসিসির শর্ত মেনে সব বন্দোবস্ত করতে হয়। পাকিস্তানের আবহাওয়াও কাজে সমস্যা করছে। ফলে যতটা দ্রুত কাজ হওয়ার কথা তা হচ্ছে না।