—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে অভিযান চালিয়ে মানব পাচার চক্রের হদিস পেল পুলিশ। গ্রেফতার এক ‘দালাল’। ধৃতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।
সোমবার নদিয়ার হাঁসখালি থানার পুলিশ বিশেষ অভিযানে মসিয়ার মণ্ডল নামে এক জন গ্রেফতার করে। তিনি মানবপাচার চক্রে ‘দালাল’ হিসাবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মসিয়ার হাঁসখালি থানার রামনগরের বাসিন্দা। অনেক দিন ধরে তিনি সেখানকার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এ দেশে প্রবেশে সাহায্য করতেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি আরও অপরাধমূলক কাজে তিনি যুক্ত হন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বাকি হদিস পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
রানাঘাট পুলিশ জেলার তথ্য অনুযায়ী, গত দু’মাসে হাঁসখালি, গাংনাপুর এবং ধানতলা থানা এলাকা থেকে ৩০ জনের বেশি দালাল গ্রেফতার হয়েছেন। পাকড়াও হন ৫৫ জনের বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এই সব ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ৫২টি মামলা করেছে পুলিশ। ২০২৪ সালে দালাল এবং অনুপ্রবেশকারী মিলিয়ে ১৮৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন। মসিয়ারের গ্রেফতারি নিয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় পুলিশের সূত্র এবং জেলা গোয়েন্দা দফতরকে কাজে লাগিয়ে চিরুনি তল্লাশি চলছে। যে এলাকাগুলিতে এই রকমের ঘটনার পূর্ব ইতিহাস আছে, সেগুলিকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পুলিশি অভিযান চলছে। জেলা পুলিশের অভিযানের সাফল্যের হার প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি।’’
অন্য দিকে, বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি নীলোৎপলকুমার পাণ্ডে বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় যে ভাবে টহলদারি চলছে, তাতে অনুপ্রবেশের কোনও সুযোগই নেই। অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলেই অভিযুক্তেরা হাতেনাতে ধরা পড়তে বাধ্য। কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ চক্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের চিহ্নিত করে গোটা চক্রকে ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। কাঁটাতার বিহীন এলাকাগুলিতে প্রহরা বাড়ানো হয়েছে।’’