Sanjay Basu

মমতার আইনজীবী সঞ্জয়ের ‘রক্ষাকবচ’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ইডি, হাই কোর্টে পিছিয়ে গেল শুনানি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সঞ্জয় বসু তাঁর আইনজীবী। ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় সঞ্জয়ের বাড়িতে ইডির তল্লাশি নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৭
ED challenges order before SC on lawyer Sanjay Basu case, so Calcutta HC postpones hearing

গ্রেফতারির আশঙ্কা করে রক্ষাকবচ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী সঞ্জয়। তা মঞ্জুরও হয়েছিল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

কলকাতা হাই কোর্টে পিছিয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর মামলার শুনানি। হাই কোর্ট জানিয়েছে, সঞ্জয়কে রক্ষাকবচ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই কারণে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখা হল।

বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এ বিষয়ে আগের অন্তর্বর্তী নির্দেশই বহাল রেখেছে। প্রসঙ্গত, আইনজীবী সঞ্জয়কে রক্ষাকবচ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার সেই আবেদন শীর্ষ আদালত শুনানির জন্য গ্রহণও করেছে।

Advertisement

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার নিজেদের দফতরে সঞ্জয়কে তলব করেছিল ইডি। গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে আগেভাগেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী সঞ্জয়। বুধবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ওই অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানায়, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তাঁকে নোটিস দিতে পারবে না ইডি। তাঁর অফিস বা বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি, কোনও কিছু বাজেয়াপ্তও করতে পারবে না তারা।

সঞ্জয়কে নোটিস পাঠানোর পরে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন ‘‘ও আমার আইনজীবী। তাই ওকে হেনস্থা করছে।’’ সঞ্জয়ের আইনজীবী সপ্তাংশু বসুর দাবি, ভুয়ো অর্থনৈতিক সংস্থার একাধিক মামলায় রাজ্যের আইনজীবী ছিলেন তাঁর মক্কেল। সে কারণেই সঞ্জয়কে বার বার হেনস্থা করছে ইডি।

ভুয়ো অর্থলগ্নির সংস্থার মামলার তদন্তে নেমে আগেই সঞ্জয়ের আলিপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থাটির আধিকারিকেরা। ১ মার্চ দিল্লি থেকে এসে সঞ্জয়ের আলিপুরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান তাঁরা। ইডি সূত্রের দাবি, প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরই বুধবার তাঁকে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement