৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জন বাঘের হামলার শিকার হয়েছেন। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘের আক্রমণে। ফাইল চিত্র।
২০২২ সালে বাঘ এবং চিতাবাঘের হামলার মৃত্যু ৫৩ জনের! গোটা দেশ বা কোনও রাজ্যের পরিসংখ্যান নয়, নিহতের এই সংখ্যা শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলাতেই!
মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গনতিওয়ার সোমবার সে রাজ্যের বিধানসভায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওই ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জন বাঘের হামলার শিকার হয়েছেন। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘের আক্রমণে। চন্দ্রপুরের পাশাপাশি, বিদর্ভ অঞ্চলের আরও কয়েকটি জেলাতেও বাঘ-চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গত বছর বিদর্ভে বিভিন্ন কারণে মোট ১৪টি বাঘেরও মৃত্যু হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরেই চন্দ্রপুর-সহ বিদর্ভের অরণ্যভূমিতে বাঘের হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দেওয়ায় ‘মানুষখেকো’ ঘোষিত বাঘিনি অবনীকে (সাঙ্কেতিক নাম টি-১) ২০১৮ সালের নভেম্বরে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল ওই অঞ্চলের যবৎমলে। পনঢারকাওড়া, টিপেশ্বর এলাকায় দু’বছরে ১৩ জন মানুষকে ‘খুনের’ অভিযোগ ছিল অবনীর বিরুদ্ধে। তাকে মেরে ফেলার দাবি তুলেছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ।