রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থেকে বাসে করে আনা ওই বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের শাসকদল মনোনয়ন জমা দিতে দিচ্ছে না বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ।
বিজেপি নেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যাবতীয় নথিপত্র-সহ ৫ জন প্রার্থীকে দফতরে ঢোকার অনুমতি দেয়। সুকান্ত মজুমদার ৫ জনকে নিয়ে কমিশনের দফতরে যান অভিযোগ জানাতে। সেই সময় কমিশনের দফতরের সামনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘শুধু বিজেপি নয়, অন্য দলের যাঁরা মনোনয়ন দিতে পারেনি, সেই প্রার্থীদেরও কাল থেকে বলব আসতে (কমিশনের দফতরে)।’’
বুধবার বিকেলে প্রথমে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আসে শুভেন্দুর নেতৃত্ব বিজেপি প্রতিনিধি দল। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া এবং বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন সেই দলে। কমিশনে তাঁরা অভিযোগ জানান, শাসকদল বিডিও অফিস ঘিরে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে। শুভেন্দুরা বেরিয়ে আসার পরেই সুকান্ত বসিরহাট থেকে আসেন। সঙ্গে বাসবোঝাই ওই এলাকার প্রার্থীরা (বিজেপির দাবি তাঁরা সংখ্যায় শতাধিক। পুলিশ সূত্রের খবর ৩৫ জন)।
এর পর শুভেন্দু এবং সুকান্ত জানান, হাই কোর্ট বলেছে মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে আপনাদের অভিযোগ জমা দিতে। প্রার্থীদের নিয়ে কমিশনের দফতরে ঢুকতে গিয়ে প্রথমে বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেতারা। এ সময় উত্তেজনা তৈরি হয়। দড়ি খুলে পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে দেন শুভেন্দু। এর পর কমিশন ৫ জন প্রার্থীকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেয়।
প্রসঙ্গত, বসিরহাটের ওই প্রার্থীদের নিয়ে বুধবার দুপুরে সেখানকার মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়েছিলেন সুকান্ত। প্রথমে দফতরে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে ধর্নায় বসেছিলেন তিনি। পরে ‘বাধার মুখে পড়ে মনোনয়ন জমা দিতে না পারা প্রার্থীদের তালিকা’ দেন মহকুমা শাসককে। এর পরে বাসে করে ওই প্রার্থীদের নিয়ে কলকাতায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছন তিনি।
যদিও তৃণমূলের তরফে সুকান্তদের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একেবারেই মিথ্যা কথা যে মনোনয়নে কাউকে বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে জানালেই তারা মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেই দিয়েছেন, যদি মনোনয়ন দিতে সমস্যা হয়, আমাদের জানান। আমরা সব বন্দোবস্ত করে দেব।’’