Jadavpur University

যাদবপুরের উপাচার্যপদ থেকে ভাস্কর গুপ্তকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল, মেয়াদ শেষের চার দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি

আগামী ৩১ মার্চ অধ্যাপক হিসাবে ভাস্কর গুপ্তের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার চার দিন আগে ২৭ মার্চ রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, উপাচার্যপদে আর থাকছেন না তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ১২:৪৪
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদ থেকে সরানো হল ভাস্কর গুপ্তকে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদ থেকে সরানো হল ভাস্কর গুপ্তকে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদ থেকে ভাস্কর গুপ্তকে সরানো হল। আগামী ৩১ মার্চ অধ্যাপক হিসাবে তাঁর চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার চার দিন আগে ২৭ মার্চ রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, উপাচার্যপদে আর থাকছেন না ভাস্কর। অর্থাৎ, সময়ের আগেই তাঁকে সরানো হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অনুমোদনেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

Advertisement

রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই বিজ্ঞপ্তি জারির সময় থেকেই তা কার্যকর হবে। আচার্যের অনুমোদনে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভাস্কর রাজভবনের এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে আমি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। চার দিন আগে এই চিঠি দেওয়া হল। ৩১ তারিখ পর্যন্ত আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে থাকব। আমি যত দিন উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলাম, যাদবপুরের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করেছি।’’

ভাস্করের অপসারণের ফলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আপাতত উপাচার্যহীন। তার ফলে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যপাল বোস ইতিপূর্বে রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। আরও ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ এখনও বাকি। তার মধ্যে অন্যতম যাদবপুর।

যাদবপুর প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘রবীন্দ্রভারতী থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যে ভাবে অচলাবস্থার এগিয়েছে, যাদবপুরও সেই পথে এগোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তালিকা থেকে এক জনকে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা যেত। রাজ্যপাল সেটা করলেন না। উল্টে অচলাবস্থা তৈরি করলেন।’’

Advertisement
আরও পড়ুন