Israel-Hamas Conflict

গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিল মিশর এবং কাতার, হামাস মেনে নিল! কী করবে ইজ়রায়েল?

ইজ়রায়েলি সেনার তরফে প্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের রাফার শরণার্থী শিবিরগুলি দ্রুত খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০০:০৭
যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা। ছবি রয়টার্স।

ইজ়রায়েলি ফৌজের ধারাবাহিক হামলার মধ্যেই গাজ়ায় পর্যায়ক্রমে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া শুরুর জন্য প্রস্তাব দিল পশ্চিম এশিয়ার দুই দেশ, মিশর এবং কাতার। স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সেই প্রস্তাব মেনেও নিয়েছে। সংগঠনের প্রধান খলিল আল–হায়া এক বিবৃতিতে সে কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আশা করব ইজ়রায়েল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে না।’’

Advertisement

যদিও শেষ পর্যন্ত তেল আভিব যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব মানবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে যথেষ্টই। সোমবার ইদের দিনেও গাজ়ায় ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি ফৌজ। ভোর থেকে শুরু হওয়া বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নারী ও শিশু-সহ অন্তত ৭০ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন, আহতের সংখ্যা শতাধিক। পাশাপাশি, ইজ়রায়েলি সেনার তরফে প্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের রাফার শরণার্থী শিবিরগুলি দ্রুত খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাজ়া ভূখণ্ডের দক্ষিণতম শহর রাফার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে কয়েক লক্ষ গৃহহীন প্যালেস্টাইনি শরণার্থী রয়েছেন। সেখানে ইজ়রায়েলি সেনা স্থল-অভিযান শুরু করলে বহু প্রাণহানির আশঙ্কা।

ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের দাবি, এখনও ৫৯ জন ইজ়রায়েলিকে পণবন্দি করে রেখেছে হামাস। তাঁদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনও অবস্থাতেই যুদ্ধবিরতি হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে তেল আভিভ। প্রসঙ্গত, কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছিল। কিন্তু মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। এই আবহে মিশর এবং কাতারের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তেল আভিভ মানবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কূটনৈতিক মহলের একাংশের।

Advertisement
আরও পড়ুন