Bizzare

প্রেমিকের সঙ্গে আদরে ডুবে স্ত্রী, হাতেনাতে ধরা পড়তেই স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুন, গ্রেফতার যুগল

কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর আবির বিক্রি করতেন তিনি। তার পর অটো চালিয়ে উপার্জন করতেন মহেশ। সংসারের খরচ চালাতে কাজ করতেন তেজস্বিনীও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৪ ১৬:২৮

—প্রতীকী ছবি।

কলেজে পড়ার সময় থেকে প্রেম। বিয়েও হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। এক পুত্র এবং কন্যাসন্তানও রয়েছে দম্পতির। তবুও স্বামী-স্ত্রীর নিত্য দিনের অশান্তি। নেপথ্যে রয়েছেন তৃতীয় ব্যক্তি। সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়়েছিলেন স্ত্রী। এমনকি তাঁদের ঘনিষ্ঠ হতেও দেখেছেন তরুণ। স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান তিনি। দু’পক্ষের মধ্যে বেধে যায় তুমুল ঝগড়া। ঝগড়ার মাঝে স্বামীকে ধাক্কা দেন তরুণী। অভিযোগ, এর পরেই তরুণের গলায় কেব্‌লের তার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন যুগল। খুনের অভিযোগে তরুণী এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি শুক্রবার বিকালে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় ঘটেছে। মৃত তরুণের নাম মহেশ (৩৬)।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর হাগাদুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন মহেশ। স্ত্রী তেজস্বিনী, ১৪ বছরের পুত্র এবং আট বছরের কন্যা নিয়ে সংসার ছিল মহেশের। কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর আবির বিক্রি করতেন তিনি। তার পর অটো চালিয়ে উপার্জন করতেন মহেশ। সংসারের খরচ চালাতে কাজ করতেন তেজস্বিনীও। প্রথমে মুদির দোকানে কাজ করতেন তিনি। দেড় বছর আগে একটি আর্থিক সংস্থায় যোগ দেন। সেখানে যোগেন্দ্রের সঙ্গে আলাপ হয় তেজস্বিনীর। তার পরেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তরুণী। তেজস্বিনীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যান মহেশ। তা নিয়ে বাড়িতে নিত্য অশান্তি হত দু’জনের।

পুলিশের দাবি, তেজস্বিনী এবং যোগেন্দ্রকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত যাপন করতে দেখে ফেলেন মহেশ। তা নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। অশান্তি চলাকালীন মহেশের গলায় কেব্‌লের তার পেঁচিয়ে তাঁকে খুন করেন যুগল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে তেজস্বিনী জানান, মহেশ বাড়ি ফিরে রোজ অশান্তি করতেন। শুক্রবারও তার অন্যথা হয়নি।

ঝগড়া চলাকালীন মহেশকে ধাক্কা মারেন তেজস্বিনী। মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান মহেশ। এমনটাই দাবি করেন তরুণী। তার পর মহেশকে হাসপাতালে নিয়ে যান তেজস্বিনী। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান মহেশ।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মহেশের গলায় দাগ লক্ষ করা যায়। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে রিপোর্ট থেকে জানা যায়। তেজস্বিনী এবং যোগেন্দ্রকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করায় খুনের কথা স্বীকার করেন দু’জনে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন
Advertisement