Bizzare

জল গরম করার সময় ফোনালাপে ব্যস্ত, আনমনা হয়ে বগলদাবা করলেন ইলেকট্রিক হিটার! মৃত্যু তরুণের

ফোনে কথা বলতে বলতে এতটাই অন্যমনস্ক হয়ে প়ড়েছিলেন যে, হিটারটি কখন বগলদাবা করে ফেলেছেন তা খেয়ালই করেননি। দোনেপুরি ভেবেছিলেন, বালতির ভিতরেই হিটারের র়়ডটি রেখেছেন। সেই ভেবে সুইচও অন করে দেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৪ ১২:৩৮

—প্রতীকী ছবি।

রবিবার। ছুটির দিন। হাতে কিছুটা ফাঁকা সময় পেয়েছিলেন তরুণ। সন্ধ্যাবেলায় তাই পোষ্যকে স্নান করানোর কথা ভেবেছিলেন তিনি। স্নান করানোর আগে জল গরম করবেন বলে স্থির করেন তরুণ। তাই এক বালতি জল ভরে ইলেকট্রিক হিটার আনতে যান তিনি। সেই সময়েই মোবাইল ফোন বেজে ওঠে তাঁর। ফোনে কথা বলতে বলতেই হাতের কাজ সারছিলেন ওই তরুণ। আর তখনই ঘটল বিপদ।

Advertisement

ফোনালাপে তিনি এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে, বালতির ভিতরে রাখার পরিবর্তে হিটারের রডটি বগলদাবা করেন তিনি। হিটার চালু করার জন্য সুইচও অন করেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার সন্ধ্যায় তেলঙ্গানার খাম্মাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম দোনেপুরি মহেশ বাবু (৪০)।

পুলিশ সূত্রে খবর, পোষ্যকে স্নান করাবেন বলে জল গরম করতে উঠেছিলেন দোনেপুরি। সেই সময় ফোনে কথা বলতে বলতে এতটাই অন্যমনস্ক হয়ে প়ড়েন যে, হিটারটি কখন বগলদাবা করে ফেলেছেন তা খেয়ালই করেননি। দোনেপুরি ভেবেছিলেন, বালতির ভিতরেই হিটারের র়়ডটি রেখেছেন। সেই ভেবে সুইচ অন করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দোনেপুরির স্ত্রী দূর্গাদেবী বিন্দুমাত্র দেরি না করে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁকে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর পর সেখানকার চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দোনেপুরিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন
Advertisement