মাথার দাম ২১৫ কোটি।
Nicolas Maduro

মাদুরোর তথ্য পেলে পুরস্কার দেবে আমেরিকা

মাদুরোর পাশাপাশি ভেনেজ়ুয়েলার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী দিয়োসদাদো কাবেলোর গ্রেফতারি নিয়েও পুরস্কার ঘোষণা করেছে আমেরিকা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৮
নিকোলাস মাদুরো।

নিকোলাস মাদুরো। —ফাইল চিত্র।

তৃতীয় বার ভেনেজ়ুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন নিকোলাস মাদুরো। গত কাল তাঁর শপথ অনুষ্ঠানের পর পরই নতুন এক ঘোষণা করেছে আমেরিকার বিদায়ী জো বাইডেন প্রশাসন। ওয়াশিংটনের তরফে জানানো হয়েছে, মাদুরোকে গ্রেফতার সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিতে পারলে আমেরিকান সরকারের তরফে আড়াই কোটি ডলার (২১৫ কোটি টাকা) পুরস্কার দেওয়া হবে। মাদুরোর পাশাপাশি ভেনেজ়ুয়েলার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী দিয়োসদাদো কাবেলোর গ্রেফতারি নিয়েও পুরস্কার ঘোষণা করেছে আমেরিকা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনোর জন্যও নতুন করে দেড় কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা
করা হয়েছে।

Advertisement

গত বছরের জুলাই মাসে ভোটে জেতেন ৬২ বছরের মাদুরো। তবে তাঁর এই জয় নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক চলছে। আমেরিকান সরকার মাদুরোর এই জয় মেনে নেয়নি। পাশাপাশি ব্রিটেন-সহ পশ্চিম ইউরোপের বহু দেশও মাদুরোর জয় নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। এমনকি ব্রাজ়িল, কলম্বিয়ার মতো বেশ কয়েকটি বামপন্থী দেশও এ বার মাদুরোর পাশে দাঁড়ায়নি। মাদুরোর বিরুদ্ধে বহু আগে থেকেই মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে আসছে আমেরিকা। তিনি অবশ্য বরাবর সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। গত জুলাইয়ের নির্বাচনে রিগিং এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও উঠেছে মাদুরোর বিরুদ্ধে। ভোটগ্রহণ এবং গণনা চলাকালীন বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিনিধিদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁর নিজের দেশের বহু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও ভোটের ‘আসল ছবি’ জনগণের সামনে দেখাতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমি দেশগুলি। আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা-সহ বেশ কয়েকটি দেশ ভেনেজ়ুয়েলা সরকার এবং বেশ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধী দলের নেতা এডমুন্ডো গঞ্জালেসকে জয়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। তবে তাঁর গ্রেফতারির জন্য পরোয়ানা জারি করে রেখেছে মাদুরো সরকার। ধরা পড়ার ভয়ে গঞ্জালেস গত সেপ্টেম্বর থেকে তাই দেশ ছাড়া। প্রথমে স্পেনে থাকছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে সম্প্রতি আমেরিকা সফর সেরেছেন গঞ্জালেস। কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁকে সস্ত্রীক আর্জেন্টিনাতেও দেখা গিয়েছে।

প্রথম সারির এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, গত কাল মাদুরোর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কিউবা এবং নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্টই শুধু উপস্থিত ছিলেন। তবে মাদুরো সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া, ইরান, চিনের মতো ভেনেজ়ুয়েলার পুরনো মিত্র দেশগুলি। শপথ নেওয়ার পরে দেশে শান্তি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মাদুরো। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ইতিহাস এবং আমার জীবনকে সাক্ষী রেখে শপথ নিচ্ছি। এবং আমি তা পূরণ করবই। আমার এই নতুন মেয়াদ শান্তি, উন্নতি, সাম্য এবং নতুন গণতন্ত্রের সময় হিসেবেই পরিচিতি পাবে।’’


Advertisement
আরও পড়ুন