হায়দরাবাদের উইকেট পড়ার পরে কেকেআরের ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: আইপিএল।
আমদাবাদে সহজ জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফাইনালে উঠল তারা। প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রানে অল আউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। ৩৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে কেকেআর।
হায়দরাবাদকে হারিয়ে কেকেআরের ফাইনালে ওঠার নেপথ্যে পাঁচ কারণ কী কী?
১) স্টার্কের প্রথম স্পেল— ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার মিচেল স্টার্ক প্রথম স্পেলেই হায়দরাবাদের কোমর ভেঙে দিলেন। দ্বিতীয় বলেই ট্রেভিস হেডকে আউট করে বড় ধাক্কা দেন তিনি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে আউট করেন নীতীশ রেড্ডি ও শাহবাজ় আহমেদকে। স্টার্কের এই স্পেল কেকেআরের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
২) রাহুল ত্রিপাঠির রান আউট— ৪ উইকেট পড়ে গেলেও ভাল খেলছিলেন ত্রিপাঠি। হায়দরাবাদকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন তিনি। দ্রুত রান করছিলেন। কেকেআরের বোলারদের বিরুদ্ধে তিনি সাবলীল ভাবে খেলছিলেন। ৩৫ বলে ৫৫ রান করে রান আউট হয়ে যান তিনি। রান আউটের ক্ষেত্রে দোষ ছিল তাঁরই। দৌড়ে গেলে হয়তো উইকেটে পৌঁছে যেতেন। কিন্তু মাঝপথেই হাল ছেড়ে দেন তিনি। তার খেসারত দিতে হয় হায়দরাবাদকে।
৩) শ্রেয়স আয়ারের অধিনায়কত্ব— দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করলেন শ্রেয়স। বোলিং পরিবর্তন থেকে ফিল্ডিং সাজানো, সব ক্ষেত্রেই পুরো নম্বর পাবেন তিনি। সুনীল নারাইন ও আন্দ্রে রাসেল রান দেওয়ায় বরুণ চক্রবর্তীর হাতে বল তুলে দেন তিনি। হেনরিখ ক্লাসেনকে আউট করেন বরুণ। এই সব সিদ্ধান্ত দলকে জেতাতে সাহায্য করে।
৪) হায়দরাবাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং— হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা ভুল শট খেলে আউট হলেন। উইকেট পড়তে থাকলেও তাঁরা খেলার ধরন বদলাননি। বার বার হাত খুলে মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এলেন। পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি হায়দরাবাদ। ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন শটের খেসারত দিতে হল দলকে।
৫) কেকেআরের ভয়ডরহীন ব্যাটিং— রান তাড়া করতে নেমে এক বারের জন্যও মনে হয়নি ভয় পেয়েছে কেকেআর। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে তারা। বোলারদের থিতু হওয়ার সময় দেননি রহমানুল্লা গুরবাজ়, বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়স আয়ারেরা। ফলে ৩৮ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় কলকাতা।