কেকেআরের পতাকা উড়ছে ইডেন গার্ডেন্সে। ছবি: আইপিএল।
জয়ে ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আগের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল শ্রেয়স আয়ারদের। রবিবার নববর্ষের দিন ইডেন গার্ডেন্সে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৮ উইকেটে হারাল তারা। ঘরের মাঠে সঞ্জীব গোয়েন্কার লখনউকে হারানোর নেপথ্যে পাঁচ কারণ কী কী? শাহরুখ খানের দলের জয়ের কারণ খুঁজল আনন্দবাজার অনলাইন।
কেকেআরের জয়ের পাঁচ কারণ—
১) টস জিতলেন শ্রেয়স। কেকেআরের অধিনায়ক প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও জানান, তিনি টস জিতলে বল নিতেন। দুপুরে ব্যাট করতে কিছুটা হলেও সমস্যা হল ব্যাটারদের। কিছু বল পিচে থমকাল। কিন্তু যত খেলা গড়াল পিচ তত সহজ হল। কলকাতার জয়ের নেপথ্যে টসের বড় ভূমিকা রয়েছে।
২) পিচ ভাল কাজে লাগালেন কেকেআরের বোলারেরা। পেসারেরা গতির হেরফের করলেন। ফলে ব্যাটারদের খেলতে সমস্যা হল। সব বল ব্যাটে সহজে এল না। শুরু ভাল না হওয়ায় শেষটাও ভাল করতে পারল না লখনউ। মাত্র ১৬১ রানে শেষ হল লখনউয়ের ইনিংস, যা ইডেনে কম। ভাল বল করলেন মিচেল স্টার্ক। শেষ ওভারে মাত্র ৬ রান দিলেন তিনি।
৩) সুনীল নারাইন দেখালেন, কেন তাঁকে আইপিএলের অন্যতম সেরা বিদেশি বলা হয়। মাঝের ওভারে রান আটকে রাখলেন তিনি। উইকেটও নিলেন। নারাইন থাকায় বরুণ চক্রবর্তী, বৈভব অরোরারা কিছু রান বেশি দিলেও দলের সমস্যা হয়নি।
৪) ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন ফিল সল্ট। ওপেন করতে নেমে অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন তিনি। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন এই ডান হাতি ব্যাটার। সল্ট বিধ্বংসী ফর্মে থাকায় শ্রেয়স ইনিংস গড়ার কাজ করলেন। অহেতুক ঝুঁকি নিতে হল না তাঁকে। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন সল্ট।
৫) ১৬১ রান করে কেকেআরকে হারাতে হলে পাওয়ার প্লে-তে ভাল বল করতে হত লখনউয়ের বোলারদের। কিন্তু শামার জোসেফ প্রথম ওভারেই ২২ রান দিলেন। সেখানেই খেলার ভাগ্য নিশ্চিত হয়ে যায়। মহসিন খান বাদে লখনউয়ের কোনও বোলার ভাল করতে পারেননি। ফলে ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি কলকাতার।