শাহরুখ খান। —ফাইল চিত্র।
নববর্ষে ইতিহাস বদল। লখনউ সুপার জায়ান্টসকে আইপিএলে হারিয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেনে প্রথমে ব্যাট করে ১৬১ রান তোলে লখনউ। ৮ উইকেটে জিতল কলকাতা। ফিল সল্টের ব্যাটে জয় সহজ হয় কেকেআরের। অবশ্য তার আগে সুনীল নারাইনের বোলিং লখনউকে কম রানে আটকে রাখতে সাহায্য করে। প্রথম বার লখনউকে হারাল কলকাতা। ইডেনের মাঠে ইতিহাস বদল নাইটদের।
ইডেনের পিচ ব্যাটিং সহায়ক। সেই পিচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও জানিয়েছিলেন যে, টস জিতলে তিনিও বল করতেন। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা ঠিক তা বোঝা গেল লখনউয়ের পাওয়ার প্লে-তেই। মাত্র ৪৯ রান তুলল লখনউ। কেকেআরের বোলারেরা রান আটকে রাখছিলেন। সেই কাজ সব থেকে ভাল করলেন সুনীল নারাইন। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিলেন তিনি। বলা হচ্ছে ইডেনের পিচ এখন পেসারদের সাহায্য করে। সেই পিচেও কী ভাবে বল করতে হয়, দেখিয়ে দিলেন নারাইন।
পাওয়ার প্লে-র পর লখনউয়ের রানের গতি আরও কমে গেল। ২৭ বলে ৩৯ রান করা রাহুল মাত্র দু’টি ছক্কা মেরেছেন। ২৭ বলে ২৯ রান করা আয়ুশ বাদোনি মেরেছেন একটি। তাঁদের মন্থর ইনিংস লখনউয়ের বড় রান তোলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যে লখনয় প্রথম ৬ ওভারে ৪৯ রান তুলেছিল, সেখানে পরের ৯ ওভারে তারা তোলে মাত্র ৬৪ রান। মনে হচ্ছিল লখনউয়ের ইনিংস হয়তো ১৪০ রানের মধ্যে থেমে যাবে। কিন্তু সূর্য ডুবতেই ইডেনে খেলা সহজ হতে থাকে। পরের দিকে নামা নিকোলাস পুরান ৩২ বলে ৪৫ রান করেন। চারটি ছক্কা মারেন তিনি। শেষ বেলায় তাঁর ব্যাটেই ১৬০ রানের গণ্ডি পার করে লখনউ। শেষ ৫ ওভারে লখনউ তোলে ৪৮ রান।
রাতের ইডেনে ব্যাট করা যে সহজ, তা বোঝা গেল কলকাতা ব্যাট করতে নামতে। প্রথম ৪ ওভারে ৪৪ রান তুলে নেন ফিল সল্টেরা। ওপেনার নারাইন এবং তিন নম্বরে নামা অঙ্গকৃশ রঘুবংশীর উইকেট হারিয়েও রানের গতি কমেনি কলকাতার। লখনউ দলে একাধিক পেসার। চোটের কারণে এই ম্যাচে মায়াঙ্ক যাদব না খেললেও ছিলেন শামার জোসেফ, যশ ঠাকুর, মোহসিন খান, আরশাদ খানের মতো পেসারেরা। কিন্তু তাঁদের খেলতে অসুবিধা হয়নি কলকাতার ব্যাটারদের।
কলকাতার ইনিংসের শুরুটা যদিও ইতিবাচক করে দেন লখনউয়ের শামার জোসেফ। তাঁর প্রথম ওভারেই উঠল ২২ রান। একের পর এক ওয়াইড এবং নো বল করেন ক্যারিবিয়ান পেসার। আইপিএলে তাঁর অভিষেকটা খুব ভাল হল না। ৪ ওভারে ৪৭ রান দেন তিনি। অল্প রান বাঁচাতে নেমে এই ভাবে রান দিলে ম্যাচ জেতা কঠিন হয়। সেটাই হল।
কলকাতার ব্যাটারদের মধ্যে নারাইন (৬) এবং অঙ্গকৃশ (৭) রান পাননি। তাঁদের উইকেট হারিয়েও সহজে রান তুলল কলকাতা। সল্ট একাই করলেন ৮৯ রান। তিনি চার মেরে ম্যাচ জেতালেন। তাঁর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ক্রিজ়ে ছিলেন শ্রেয়স। কিন্তু ৩৮ বলে ৩৮ রান করলেন তিনি। যা আগামী ম্যাচে চিন্তার কারণ হতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে এত মন্থর ব্যাটিং যে কোনও দলের কাছেই চিন্তার।