মেলবোর্নে ১২৭ রানের জুটির পথে ওয়াশিংটন সুন্দর (বাঁ দিকে) ও নীতীশ রেড্ডি। ছবি: পিটিআই।
একটা সময় দেখে মনে হয়েছিল, ফলো-অন হবে ভারতের। সেখান থেকে দলকে ম্যাচ ফিরিয়েছেন নীতীশ কুমার রেড্ডি ও ওয়াশিংটন সুন্দর। টেস্ট কেরিয়ারে প্রথম শতরান করেছেন নীতীশ। অর্থশতরান করেছেন সুন্দর। তাঁদের লড়াইয়ের নেপথ্যে রয়েছেন কোচ গৌতম গম্ভীর ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দিনের খেলা শেষে তা খোলসা করলেন সুন্দর।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার থেকে ১১৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে ভারত। কিন্তু একটা সময় ২২১ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। তার পরে নীতীশ ও সুন্দর ১২৭ রানের জুটি বাঁধেন। নীতীশের মানসিকতায় মুগ্ধ সুন্দর। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “নীতীশ অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। মানসিক ভাবে খুব শক্তিশালী। মেলবোর্নে ওর শতরানের কথা সারা জীবন মনে থাকবে। ও মাঠে নিজের ১০০ শতাংশ দেয়। এটাই ওর জীবনের মূলমন্ত্র। ওর খেলা দেখে খুব ভাল লেগেছে।”
তাঁরা যখন ব্যাট করতে নামেন তখন দল কঠিন পরিস্থিতিতে ছিল। সেখান থেকে তাঁরা জুটি বাঁধেন। নিজেদের মধ্যে কী কথা হচ্ছিল তা জানিয়েছেন সুন্দর। তিনি বলেন, “আমরা ঠিক করেছিলাম যত ক্ষণ পারব খেলব। তখন ওরাও একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তাই রান করা কিছুটা সহজ হয়ে পড়েছিল। আমরা ধীরে ধীরে রান করার দিকে মন দিয়েছিলাম। সেটাই করেছি।”
সেই সময় সাজঘর থেকেও স্পষ্ট নির্দেশ ছিল তাঁদের কাছে। সেই মন্ত্র কাজে লাগিয়েছেন তাঁরা। সুন্দর বলেন, “গৌতি ভাই আমাদের বলেছিল লড়াই করতে। রোহিত ভাইও সেটাই বলেছিল। পরিস্থিতি না দেখে রান করার দিকে নজর দিতে হলেছিল। সাজঘরের নির্দেশ স্পষ্ট ছিল। সেই নির্দেশ মেনে খেলেছি। জুটি বেঁধেছি। শেষ পর্যন্ত অফরাজিত থাকতে পারলে ভাল লাগত। আউট হয়ে যাওয়ায় খারাপ লাগছে।”
তাঁদের দু’জনের প্রস্তুতির নেপথ্যেও কোচ গম্ভীরকে কৃতিত্ব দিয়েছেন সুন্দর। ভারতের অলরাউন্ডার বলেন, “গৌতি ভাই আমাদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক খেটেছে। টেকনিক্যাল কোনও সমস্যা হয়েছে কি না, সে দিকে নজর দিয়েছে। ব্যাটিং কোচ অভিষেক ভাইও আমাদের নিয়ে পড়ে থেকেছে। নেটে অনেক ক্ষণ ব্যাট করেছি। তার ফল মাঠে পেয়েছি।”
দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ভারতের রান ৯ উইকেটে ৩৫৮। ১০৫ রান করে অপরাজিত রয়েছেন নীতীশ। সঙ্গে রয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। এখন দেখার, চতুর্থ দিন নিজেদের রান কতটা বাড়াতে পারে ভারত।