শেন ওয়ার্ন। — ফাইল চিত্র
শেন ওয়ার্নের মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি। এত দিন পর তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এল। ইংল্যান্ডে বসবাসকারী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক এবং অস্ট্রেলিয়ার এক চিকিৎসক যৌথ ভাবে একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন যেখানে তাঁদের দাবি, করোনার টিকা নেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে অজি স্পিনারের।
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অসীম মলহোত্রা এবং ক্রিস নিল এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। তাঁদের দাবি, ওয়ার্ন হৃদ্রোগে মারা গিয়েছেন এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু মৃত্যুর ন’মাস আগে তিনি করোনা টিকা নিয়েছিলেন। কোভিড এমআরএনএ নামে সেই টিকা তাঁর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়। বিশেষত যাঁদের ক্ষেত্রে হৃদ্রোগের কোনও চিহ্ন আগে ধরা পড়েনি।
চিকিৎসক মলহোত্রা বলেছেন, “একজন প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ মাত্র ৫২ বছর বয়সে হৃদ্রোগে মারা গিয়েছেন, এমন ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না। তবে আমরা এটাও জানতে পেরেছি, মৃত্যুর আগে ওয়ার্ন খুব একটা সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন না। ওজন বেশি ছিল এবং ধূমপায়ী ছিল। মনে হয় ওর ধমনীতে আগে থেকেই কোনও সমস্যা ছিল যেটা ধরা পড়েনি। তবে ফাইজ়ারের দু’টি কোভিড এমআরএনএ টিকা নেওয়ার পরে সেই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এ ধরনের রোগী আমি আগেও দেখেছি। আমার বাবাও একই সমস্যায় মারা গিয়েছেন।”
অস্ট্রেলিয়াবাসী চিকিৎসক নিলেরও দাবি, কিছু কিছু কোভিড টিকা হৃদ্রোগের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। তাঁর দাবি, অন্তত ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে কোভিড টিকা নেওয়ার পর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে। তিনি অবিলম্বে এই বিশেষ টিকা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যত ক্ষণ না পরীক্ষার পর ভাবে এই টিকা ছাড়পত্র পাচ্ছে।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার দিমিত্র মাসকারেনহাস এই খবর শুনে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। বলেছেন, “শেন আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিল। ওর মৃত্যু আটকানো যেতেই পারত। যদি কোভিড টিকা না নিত তা হলে আজও বেঁচে থাকতে পারত। কোনও দিন কারও ক্ষতি করেনি। ডাক্তাররা এই টিকা বাতিল করার যে ডাক দিয়েছেন, তা পুরোপুরি সমর্থন করছি।”