মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
লাল বা সাদা, সব ক্রিকেট বলই তাঁর ভীষণ বাধ্য। তাঁর মতো নিখুঁত সিম পজিশন বিশ্বের দ্বিতীয় কোনও বোলারের নেই। বিশ্বকাপে ছ’ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন মহম্মদ শামি। ক্রিকেটজীবনের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নামার আগে নিজেই ফাঁস করে দিলেন সাফল্যের রহস্য।
ভারতের উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা জোরে বোলারদের জন্য বিশেষ সুখকর হয় না। মন্থর, ভাঙা উইকেটে হাঁটুর উপরে বল তোলাই কষ্টকর। এ দেশের সব মাঠে সুইংও পাওয়া যায় না। একাধিক প্রতিকূলতা সামলে জোরে বোলারদের বল করতে হয় ভারতের মাটিতে। যে কারণে একটা সময় পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটে বিশ্বমানের জোরে বোলার তৈরি হত না। অথচ জোরে বোলারদের জন্য বধ্যভূমি হিসাবে পরিচিত ভারতের উইকেটেই প্রায় ইচ্ছা মতো উইকেট তুলে নেন শামি। মরা উইকেটও যে তাঁর বোলিং দক্ষতায় প্রাণ ফিরে পায়, এ বারের বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্সই প্রমাণ।
সেই শামিই ফাইনালের আগে কথা বলেছেন নিজের বোলিং নিয়ে। ভারতের যে কোনও উইকেটে কী করে অনায়াসে উইকেট তুলে নেন? শামি বলেছেন, ‘‘আমি সব সময় পরিস্থিতি বুঝে বল করার চেষ্টা করি। পিচ কেমন, বল পড়ে কেমন আচরণ করছে, সুইং করছে কি না— এ সব দেখে সিদ্ধান্ত নিই।’’ বল সুইং না করলে তো নিশ্চয়ই সমস্যা হয়? শামি বলেছেন, ‘‘অনেক সময় বল সুইং করে না। তখন উইকেটের সোজাসুজি বল করার চেষ্টা করছি। এমন জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করি, যেখানে বল পড়লে ব্যাটের কানায় লাগার সুযোগ থাকে। ব্যাটার ড্রাইভ করার চেষ্টা করলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ যাওয়ার সুযোগ থাকবে।’’
এ বারের বিশ্বকাপের একাধিক ম্যাচে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিয়েছেন শামি। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী আগামী রবিবারের ফাইনালে শামির কাছ থেকে আরও একটা ভাল স্পেল চান। তাঁর মতে, আমদাবাদের ২২ গজেও শামির সফল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।