প্রথম বার পোষ্য এনেছেন ঘরে, কোন বিষয়গুলিতে নজর দেবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
ছেলের আবদার। জন্মদিনে সে ছোট্ট একটি পোষ্য চেয়েছিল। তার পছন্দের পাগের ছানা এনেছেন বাড়িতে। কিন্তু পোষ্য সামলানোর কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। ভয় না পেয়ে, জেনে নিন চারপেয়েকে সামলাতে কোন বিষয়গুলিতে নজর দেওয়া দরকার।
যাঁদের বাড়িতে পোষ্য আছে তাঁরা জানেন, মনুষ্যসন্তানকে যে ভাবে আদরযত্নে বড় করতে হয়, সারমেয়শাবক হোক বা মার্জার-ছানা, যে কোনও পোষ্যকেই একই ভাবে যত্ন করতে হয়। প্রতি পদে তার খেয়াল রাখতে হয়। পশু চিকিৎসক চার্লি অ্যাসলে সমাজমাধ্যমে প্রথম যাঁরা পোষ্য ঘরে এনেছেন তাঁদের জন্য জরুরি পরামর্শ ভাগ করে নিয়েছেন।
১. পোষ্যকে ঘরে আনার পর তার জন্যেও স্থান প্রস্তুত করা প্রয়োজন। কোথায় সে থাকবে, কী ভাবে থাকবে বিষয়টি মোটেও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। শীতের দিন হলে, তার জন্য মোটা বিছানা, আরামদায়ক কম্বলের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি পোষ্যের জন্য ক্ষতিকর, যে জিনিস সে দেখলেই চট করে খেয়ে ফেলতে পারে বা মুখে দিতে পারে সেগুলি সরিয়ে দিতে হবে।
২. পোষ্যের খাওয়া, প্রস্রাব, তাকে স্নানঘরে নিয়ে যাওয়া সবটাই শুরু থেকে ঘড়ি ধরে করলে ধীরে ধীরে দৈনন্দিন রুটিনে সে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। প্রথম থেকে তার প্রশিক্ষণ শুরু হলে, পরবর্তী সময়ে পোষ্য বা মনিব, কারও কোনও অসুবিধা হবে না।
৩. বাড়িতে অতিথি এলে কী করবে, কোনটা নয়, বাইরে গেলেই বা কী করা যায়, সেগুলিও তাকে শেখানো প্রয়োজন। সামাজিক শিক্ষা দেওয়াটা জরুরি। প্রথম বার পোষ্য ঘরে আনলে, অনেকেই বুঝতে পারেন না কী ভাবে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে পেশাদার কারও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তবে সঠিক প্রশিক্ষণ পোষ্যের জন্য জরুরি।
৪. পোষ্যর সামনে যে কোনও খাবার রাখলেই সে চেটেপুটে খেয়ে নিতে পারে। খাবারের মাপ সারমেয় না বুঝলেও বাড়ির লোককে বুঝতে হবে। কোন বয়সে কত ক্ষণ অন্তর, কতটা খাবার তাকে দেওয়া যায়, এই ব্যাপারে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। সারমেয়র খাবার এক রকম হবে, বিড়াল হলে অন্য রকম, পোষ্যের তালিকায় পাখি বা খরগোশ থাকলে তার খাদ্যাভাস আলাদা হবে। কোন খাবার কার জন্য স্বাস্থ্যকর সেটা জেনে নেওয়া খুব জরুরি।
৫. পোষ্যের টিকাকরণ যতটা জরুরি, ততটাই প্রয়োজনীয় ওষুধ বুঝে নেওয়া। কৃমি-সহ বিভিন্ন ওষুধ বয়স অনুযায়ী তাকে খাওয়ানোর দরকার পড়ে। তা ছাড়া হাতের কাছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র রাখা দরকার। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর পোষ্যকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
এ ছাড়া সময়মতো পোষ্যকে স্নান করানো, নখ কাটা, লোম পরিষ্কার করে দেওয়া, যত্নও জরুরি। বুঝতে হবে তার আচার-আচরণ। পোষ্যের শরীর শুধু নয়, মনও খারাপ হতে পারে। পোষ্যকে ভাল রাখতে হলে প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ই জরুরি।