মহাকাশ স্টেশনে ফলানো কাঁচা লঙ্কা হাতে মহাকাশচারীরা। ছবি- নাসার সৌজন্যে।
কাঁচা লঙ্কা ফলানো সম্ভব হল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। এই প্রথম। সেই কাঁচা লঙ্কা খেয়েওছেন মহাকাশচারীরা। নাসার তরফে মঙ্গলবার এই খবর দেওয়া হয়েছে।
মহাকাশে কোন কোন আনাজের ফলন সম্ভব, তা বুঝতে গত জুনে পৃথিবী থেকে কাঁচা লঙ্কার প্রচুর বীজ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মহাকাশ স্টেশনে। মঙ্গল বা চাঁদে মহাকাশচারীদের দীর্ঘ দিন থাকতে হলে সেখানেই কী কী জিনিস ফলানো সম্ভব তা বুঝতেই মহাকাশ স্টেশনে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে নাসার তরফে জানানো হয়েছে।
নাসা জানিয়েছে, গত শুক্রবার মহাকাশ স্টেশনে বীজ থেকে প্রথম কাঁচা লঙ্কার ফলন সম্ভব হয়েছে।
নাসার মহাকাশচারী মেগান ম্যাকআর্থার টুইট করে জানিয়েছেন, মহাকাশ স্টেশনে যে কাঁচা লঙ্কা হয়েছে, ফাজিতা বিফের সঙ্গে তাঁরা তা খেয়েওছেন।
গত জুলাইয়ে নাসার তরফে জানানো হয়েছিল পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া বীজ থেকে মহাকাশ স্টেশনে চার মাসের মধ্যেই কাঁচা লঙ্কা ফলানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এও জানানো হয়েছিল ‘প্ল্যান্ট হ্যাবিটাট-০৪’ মিশনে এই প্রথম মহাকাশে বীজ থেকে সরাসরি কাঁচা লঙ্কা ফলানো সম্ভব হল। তখনই নাসার তরফে জানানো হয়, সেই কাঁচা লঙ্কা যদি খাওয়ার মতো মনে হয় তা হলে মহাকাশ স্টেশনেই তা চেখে দেখবেন মহাকাশচারীরা। তার পর সেখানে ফলানো বাকি কাঁচা লঙ্কাগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে তার খাদ্যগুণ যথার্থ কি না তা পরীক্ষা করতে। মহাকাশে ফলানো বিভিন্ন ফসল খাওয়ার ফলে মহাকাশচারীদের উপর কী কী প্রভাব পড়তে পারে তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে নাসার তরফে জানানো হয়েছিল গত জুলাইয়ে।