Begging Prevention

ভিক্ষা করার অভিযোগে গ্রেফতার যুবক! ভিক্ষা প্রতিরোধ আইনের প্রথম প্রয়োগ ভোপালে

ভোপালে এক যুবক ভিক্ষা চাইতে এলে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধ আইনের অধীনে মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেফতার হন যুবক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৬
মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ভিক্ষা করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ভিক্ষা করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। মধ্যপ্রদেশে এই প্রথম প্রযুক্ত হল ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধ আইন। ১৯৭৩ সাল থেকে এই আইন চালু রয়েছে রাজ্যে। সম্প্রতি যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জ়োন ২) সঞ্জয় আগরওয়াল জানিয়েছেন, এমপি নগর থানা এলাকায় এক ভিক্ষুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভোপালের বোর্ড অফিস সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ভিক্ষা চাইছিলেন তিনি। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, যুবক ভিক্ষা চাইতে এলে তিনি তাঁকে ভিক্ষাবৃত্তির কারণ জিজ্ঞাসা করেন। অন্য কোনও কাজ করে রোজগারের উপদেশও দেন। কিন্তু ভিক্ষুক যুবক জানিয়ে দেন, তিনি অন্য কাজ পারেন না। ভিক্ষা করেই একার পেট চালান। যুবকের এই বক্তব্য শোনার পর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি।

অভিযোগ পেয়ে মধ্যপ্রদেশ ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধ আইনের অধীনে মামলা রুজু করে পুলিশ। যুবককে ওই নির্দিষ্ট ট্র্যাফিক সিগন্যালের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধের বিষয়ে পুলিশ তৎপর। অনেক সময় অভিযোগ আসে, এমন কেউ কেউ সিগন্যালে দাঁড়ানো গাড়ির সামনে হাত পাতছেন, যাঁদের ‘দেখে ভিক্ষুক বলে মনে হয় না’। এই ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে পুলিশ।

১৯৭৩ সালে ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধ আইন বা ভিক্ষাবৃত্তি নিবারণ অধিনিয়ম আনা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশে। এতে বলা হয়েছে, কেউ ভিক্ষা করলে তাঁকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত কাজের প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং তাঁর ও তাঁর উপর নির্ভরশীলদের কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন