রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে তিলের লাড্ডু। ছবি: সংগৃহীত।
শীত এলেই তিলের নাড়ু, খাজা কিংবা তিলের লাঠি খাওয়ার কথা মনে পড়ে। মরসুম বদলের এই সময়ে তিল খাওয়ার হুজুগ নতুন নয়। ঠাকুমা-দিদিমাদের কাছে তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না-থাকলেও পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই সময়ে তিল খেলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয় তিলে তিলে। মরসুম বদলের সময়ে সংক্রমণজনিত রোগে ভোগার ঝক্কিও পোহাতে হয় না।
কী এমন রয়েছে তিলে?
আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ রয়েছে তিলে। এ ছাড়া রয়েছে ফাইবার। এই ফাইবার অন্ত্র ভাল রাখার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। শীতকালে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায় অনেকেরই। তিল কিন্তু ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময় করে। চিনা খাবারে তিলের রমরমা থাকলেও রোজের সাধারণ রান্নায় সাধারণত এই বীজ দেওয়া হয় না। শুধু তিল খেতে ভাল না-লাগলে তা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন লাড্ডু। রইল রেসিপি।
কী ভাবে তৈরি করবেন তিলের লাড্ডু ?
উপকরণ:
তিল : ২ কাপ
খোয়া ক্ষীর: আধ কাপ
চিনি গুঁড়ো: ১ কাপ
কাজুবাদাম কুচি: ২ টেবিল চামচ
কাঠবাদাম কুচি: ২ টেবিল চামচ
ছোট এলাচের গুঁড়ো: আধ চা চামচ
প্রণালী:
১) প্রথমে শুকনো কড়াইয়ে তিলগুলি হালকা করে নাড়াচাড়া করে নিন। গ্যাসের আঁচ যেন খুব বেশি না থাকে।
২) এ বার ভেজে নেওয়া তিলের অর্ধেকটা মিক্সিতে পিষে নিন। মিহি গুঁড়ো করার প্রয়োজন নেই।
৩) কড়াইয়ে খোয়া ক্ষীর দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। এ বার দিন চিনি। ক্ষীর এবং চিনি ধীরে ধীরে গলতে শুরু করলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। চিনি দিতে না চাইলে গুড়ও দিতে পারেন।
৪) এই মিশ্রণের মধ্যে তিলের গুঁড়ো, আস্ত তিল, বাদাম কুচি এবং ছোট এলাচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।
৫) এ বার দু’হাতের তালুতে সামান্য ঘি মাখিয়ে নিন। তিলের মিশ্রণ একটু ঠান্ডা হলে সেখান থেকে অল্প করে নিয়ে লাড্ডুর আকারে গড়ে নিন।