Bhopal Incident

দরজায় তালা দিয়ে চলে গিয়েছে ছেলে, ভোপালে জল আর খাবার না পেয়ে মারা গেলেন বৃদ্ধা মা

বাড়ির ভিতরে শয্যাশায়ী মা। দরজায় তালা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে চলে গিয়েছেন পুত্র। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে খাবার আর জল না-পেয়ে বেঘোরেই মারা গেলেন বৃদ্ধা মা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৩
দরজায় তালা দিয়ে চলে গিয়েছে ছেলে, ভোপালে মৃত্যু শয্যাশায়ী মায়ের।

দরজায় তালা দিয়ে চলে গিয়েছে ছেলে, ভোপালে মৃত্যু শয্যাশায়ী মায়ের। —প্রতীকী চিত্র।

বাড়ির ভিতরে শয্যাশায়ী মা। দরজায় তালা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে চলে গিয়েছেন পুত্র। খাবার আর জল না-পেয়ে বেঘোরেই মারা গেলেন বৃদ্ধা মা। ভোপালের এই ঘটনায় পুত্রের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের নিশাতপুর এলাকার বাসিন্দা ললিতা দুবে। পুত্র অরুণকে নিয়ে থাকতেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ললিতা বেশ কয়েক মাস ধরেই শয্যাশায়ী এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য পুত্র এবং পুত্রবধূর উপরে নির্ভরশীল ছিলেন। অভিযোগ, সম্প্রতি অশীতিপর মাকে বাড়িতে একা রেখে স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন পুত্র অরুণ। উজ্জয়িনী গিয়ে ভাই অজয়কে ফোন করে মায়ের দেখাশোনা করার অনুরোধ করেন।

অজয় ভোপালের বাসিন্দা এক বন্ধুকে মায়ের খোঁজ নেওয়ার বাড়িতে পাঠান। সেই বন্ধু দরজার তালা ভেঙে দেখেন বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। এই ঘটনায় দাদা অরুণের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন অজয়। ঘটনায় খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ। বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় মৃত্যু হয়েছে ললিতার।

এই প্রসঙ্গে ইনস্পেক্টর রূপেশ দুবে বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ওই বৃদ্ধা না-খেতে পেয়ে মারা গিয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি বিছানা ছেড়ে উঠে খাবার বা ওষুধ খেতে পারতেন না। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় জলও খেতে পারেননি তিনি। এর ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়।” ওই পুলিশকর্মী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে বৃদ্ধার পুত্র অরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন