মুখে কাঁচা দুধ মাখলে কী উপকার হবে? ছবি: সংগৃহীত।
সাদা জামা থেকে হলুদ কিংবা কালির দাগ তুলতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতেন অনেকে। সেই একই পন্থা কি ত্বকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য?
রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, ত্বকের যত্ন মানেই সালোঁয় ছুটতে হবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। বাড়িতে সামান্য কিছু উপকরণ দিয়েই ত্বকের বহু সমস্যার সমাধান করা যায়। যেমন কাঁচা দুধ। প্রোটিন, ভিটামিন এবং ল্যাক্টিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই উপকরণ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ত্বকের পিএইচের সমতাও বজায় থাকে কাঁচা দুধ মাখলে। তবে ত্বকের তো অনেক রকম সমস্যা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে শুধু কাঁচা দুধ মাখলে কিন্তু কাজ হবে না। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে আরও কয়েকটি উপাদান।
ত্বকের কোন সমস্যায় কাঁচা দুধের সঙ্গে কী মেশাবেন?
১) কাঁচা দুধ, হলুদের গুঁড়ো:
ছোট একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ এবং ১ চা চামচ গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে নিন। এ বার ওই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন মিনিট ১৫। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ এই প্যাক ব্রণ, পিগমেন্টেশনের কালচে দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে।
২) কাঁচা দুধ, চন্দনের গুঁড়ো:
ছোট একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ এবং ১ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। মিনিট ১৫ এই মিশ্রণ মুখে মেখে রেখে দিন। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের জেল্লা ফেরানোর পাশাপাশি প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে এই প্যাক।
৩) কাঁচা দুধ, মধু:
ছোট একটি পাত্রে সম পরিমাণে কাঁচা দুধ এবং মধু মিশিয়ে নিন। এ বার মুখে ওই মিশ্রণ মেখে রেখে দিন মিনিট ২০। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে, জেল্লাও ফিরবে।
৪) কাঁচা দুধ, পাকা কলা:
ছোট একটি পাত্রে প্রথমে পাকা কলা চটকে মেখে নিন। তার মধ্যে ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে মেখে রেখে দিন ২০ মিনিট। ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়, সে ক্ষেত্রে এই প্যাকটি দারুণ কাজের।
৫) কাঁচা দুধ, বেসন:
ছোট একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ এবং ১ টেবিল চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। মিনিট ১৫ অপেক্ষা করুন। তার পর হালকা হাতে ঘষে নিন। ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ সরে যাবে সহজেই। ভিতর থেকে ত্বক জেল্লাদার হয়ে উঠবে।