টেবিল ছোট হতে পারে, কিন্তু কাজ তার অনেক বড়। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম চোখে হাত বাড়ালেই প্রয়োজনীয় জিনিসটি যেন পাওয়া যায়। তাই ফোন, জলের বোতল থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ— সবই রেখে দেন ‘বেড সাইড’ টেবিলে। আবার, রাতে শোয়ার আগে ঠোঁটে ঘষে নেওয়ার লিপবামও ঠাঁই পায় সেখানেই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বিছানার পাশে রাখা ওই টেবিলটির ভূমিকাও কম নয়। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকবে। আবার, ঘরের কোণে আলোও ছড়াবে। বাড়ির ছোটখাটো কিছু জিনিস দিয়েই বড়দিনের আগে সাজিয়ে ফেলতে পারেন ওই টেবিলটি।
১) প্রথমে টেবিলে রাখা সব জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে টেবিলটি ভাল করে সাফ করে নিন। কাঠের টেবিল হলে জল দিয়ে মোছার প্রয়োজন নেই। কাচের টেবিল হলে তা অনায়াসেই ভিজে কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলা যায়। তার পর যদি সুন্দর দেখতে একটি রানার পেতে নেন, দেখতে মন্দ লাগবে না।
২) আগে থেকে ভেবে নিন, হাতের কাছে কোন জিনিসগুলি রাখা সত্যিই প্রয়োজন। সেই বুঝে জিনিস বাছাই করতে হবে। যেমন চোখ খুলেই অনেকে সময় দেখতে চান। সে ক্ষেত্রে ঘড়ি রাখা আবশ্যিক। আবার, মাথার খুব কাছে বা বালিশের তলায় ফোন রাখা উচিত নয়। তাই ফোনটিও রাখা যেতে পারে ওই টেবিলে। একটি জলের বোতল রাখতে ভুলবেন না যেন। চাইলে দু-একটি শো-পিস যোগ করতে পারেন।
৩) বেডসাইড টেবিলের তলায় দু’-তিনটি ড্রয়ার থাকলে বাড়তি সুবিধা মিলবে। অপ্রয়োজনীয় নয়, আবার আলমারিতেও তুলে রাখা যাবে না, এমন কিছু জিনিস থাকলে সেগুলিকে ওই ড্রয়ারে চালান করে দিন। ড্রয়ারের ভিতর আলাদা করে ‘অর্গানাইজ়ার’ রাখলে প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।
৪) রাতে শোয়ার আগে অল্পবিস্তর পরিচর্যা করেন। সব কিছু বেডসাইড টেবিলে রাখা সম্ভব নয়। তবে লিপবাম, ফাটা গোড়ালি মোলায়েম করার ক্রিম কিংবা ঘুম আনার জন্য এসেনশিয়াল অয়েলের শিশিটি বেডসাইড টেবিলের উপরের ড্রয়ারে রাখা যেতেই পারে। ছোটখাটো গয়না থাকলে শোয়ার আগে তা খুলে রেখে দিতে পারেন ড্রয়ারের এক কোনায়।
৫) ড্রয়ারের মধ্যে রাখা ছোটখাটো জিনিসের সঙ্গে জড়িয়ে-পেঁচিয়ে থাকে ফোন, ট্যাবলেট, কিংবা ল্যাপটপের চার্জার। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে চাইলে ব্যবহার করার পর প্রতি বার চার্জার গুছিয়ে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট জায়গায় সঠিক ভাবে রাখতে পারলে কোনও সমস্যাই হবে না।